মুন্সিগঞ্জ ৩১ অক্টোবর, ২০১৯, টংগিবাড়ী প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার আউটশাহী ইউনিয়নের বলই গ্রামের সোলাইমান মৃধার ছেলে গোলাম মোস্তফা রানা (৩৮) কে গ্রেফতার করেছে টংগিবাড়ী থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে রাজধানী ঢাকার ফকিরাপুল পানির ট্যাংকির সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রানার বিরুদ্ধে ফরিদপুর, দোহার, মুন্সিগঞ্জে ৩টি মামলায় ৩বছর ৭মাসের সাজা রয়েছে । তাছাড়া ৬টি জিআর ও ২৫টি সিআর মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
২০০৪ সালে টংগিবাড়ী বাজারে কাজী মার্কেটের ৩য় তলায় একটি অফিস সহ বাংলাদেশের প্রায় ৬৪ জেলায় একশত এর অধিক শাখা অফিস খুলে কয়েকশত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে দি ম্যাক্সিম গ্রুপ।
এরপর ২০১২ সাল থেকে পলাতক থাকেন দি ম্যাক্সিম গ্রুপের এমডি গোলাম মোস্তফা রানা।
টংগিবাড়ী থানার অফিসার ইনর্চাজ শাহ্ মো: আওলাদ হোসেনের নিদের্শে টংগিবাড়ী থানার এসআই মো: নূর আলম মিয়া, এসআই মো: তুহিনুর জামান, এএসআই হারুন উর রশিদ মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ৭বছর পলাতক আসামী রানাকে রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে।
রানার প্রতারনার কাজে সহযোগীতা করত গ্রুপের পরিচালক উপজেলার রাউৎভোগ গ্রামের সুলতান, সালাম। আর এ গ্রুপের চেয়ারম্যান ছিল শহীদুল ইসলাম বারাকাতি।
বারাকাতি ইতিপূর্বে মুন্সিগঞ্জে একটি মামলায় দীর্ঘদিন জেল খেটে জামিনে আছে।
আর পরিচালক সুলতান ও সালাম এখনো পলাতক। তাদের বিরুদ্ধেও অনেক মামলা রয়েছে।
প্রতারক এ গ্রুপের প্রতারনায় নি:স্ব হয়েছে এ অঞ্চলের কয়েকশো মানুষ। ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক পরিচালিত বলে সাধারণ মানুষকে ভূল বুঝিয়ে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ তুলেছে এ গ্রুপের গ্রাহকরা।
টংগিবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ্ মো: আওলাদ হোসেন বলেন, দীর্ঘ তিন মাস তাকে ধরার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। অবশেষে আধুনিক প্রযুক্তি মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তাকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার নামে ৩টি মামলায় ৩বছর ৭মাসের সাজা রয়েছে। তাছাড়া ৬টি জিআর ও ২৫টি সিআর মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।