মুন্সিগঞ্জ, ১১ এপ্রিল, ২০২০, আরাফাত রায়হান সাকিব (আমার বিক্রমপুর)
পদ্মা সেতুর ২৮তম স্প্যান বসানো হয়েছে। শনিবার (১১ এপ্রিল) সকাল নয়টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও মাদারীপুরের সীমান্ত অংশের ২০ ও ২১নং পিয়ারে বসানো হয় স্প্যানটি।
২৭তম স্প্যান বসানোর ১৪ দিনের মাথায় ২৮তম স্প্যানটি বসানো হয়। এর মাধ্যমে সেতুর ৪ হাজার ২০০ মিটার দৃশ্যমান হলো।
পদ্মাসেতুর দায়িত্বশীল প্রকৌশলী সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার সকালে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ‘তিয়ান-ই’ ভাসমান ক্রেনে স্প্যানটি নির্ধারিত দুটি পিয়ারের কাছে পিলারের কাছে নোঙর করে রাখা হয়। শনিবার সকালে স্প্যানটি বসানোর কার্যক্রম শুরু হয়। নয়টার দিকে স্প্যানটি পিলারের ওপর বসানো হয়।
এর মধ্যে মূল সেতুর ৪২টি পিয়ারের কাজ শেষ হয়েছে। সর্বশেষ গত ১ই এপ্রিল পিয়ার ২৬ তৈরি মধ্য দিয়ে মূল সেতুর পিয়ার তৈরির কাজ শতভাগ সর্ম্পূণ হয়।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হয় ২৭টি স্প্যান। প্রতিটি স্পেনের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে।
এর মধ্যে সবকটি পিলার দৃশ্যমান হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি)। আর নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে।