১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বৃহস্পতিবার | রাত ৮:৫৮
১৪৪ ধারা: মাঠে নামেনি হেফাজত, পুলিশ-বিজিবি-র‍্যাব কঠোর অবস্থানে
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ৮ এপ্রিল, ২০২১, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া কলেজ মাঠে হেফাজতে ইসলাম মুন্সিগঞ্জ জেলা ও ঢাকা দক্ষিণ এর আয়োজনে ‘প্রতিবাদ সমাবেশ’ ঠেকাতে গতকাল বুধবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬ টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) রাত ১০ টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন।

এর আগে উপজেলার কুচিয়ামোড়া কলেজ মাঠে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও মধুপুর পীর আব্দুল হামিদ ও সৈয়দপুর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা বশির আহমদের উপর হামলা, দেশের বিভিন্ন স্থানে আহত হেফাজত কর্মী ও তাদের উপর মামলার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) যোহর নামাজের পরে ‘প্রতিবাদ সমাবেশ’ কর্মসূচি দেয় হেফাজত। কর্মসূচিতে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা জুনায়েদ বাবুনগরী ও মামুনুল হকের অংশ নেয়ার কথা ছিলো।

কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েও মাঠে নামেনি হেফাজত। কুচিয়ামোড়া কলেজ মাঠ ও এর আশপাশ এলাকা ছিলো বিপুল পরিমাণ পুলিশ, বিজিবি ও র‍্যাব সদস্যদের দখলে। ছবি: আমার বিক্রমপুর।

তবে কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েও মাঠে নামেনি হেফাজত। কুচিয়ামোড়া কলেজ মাঠ ও এর আশপাশ এলাকা ছিলো বিপুল পরিমাণ পুলিশ, বিজিবি ও র‍্যাব সদস্যদের দখলে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঐ এলাকায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আশপাশের এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের লাঠি-সোটা নিয়ে সকাল থেকেই অবস্থান করতে দেখা গেছে।

দুপুর ১টা’র দিকে হেফাজতে ইসলামের সহকারী প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, হেফাজতে ইসলামের ডাকা সমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। ১৪৪ ধারা ভেঙে কর্মসূচি করতে আগ্রহ নেই হেফাজতের।

সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম ‘আমার বিক্রমপুর’ কে জানান, আজ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা ছিলো। এছাড়া কোভিড- ১৯ এর বিস্তার লাভ করারও সম্ভাবনা থাকে। তাই জনগণের জানমাল ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে।

তিনি জানান, ‘গতকাল বুধবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬ টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) রাত ১০ টা পর্যন্ত সিরাজদিখানের কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া কলেজ মাঠ, কুচিয়ামোড়া বাজার, ইসলামপুর কবরস্থান মাঠ, নিমতলা বাজার আওলাদ মার্কেট এলাকায় প্রবেশ, সভা-সমাবেশ, র্যালী, বিক্ষোভ মিছিল বা লাঠি-সোটা ইত্যাদি বহন এবং লাউড স্পিকার বা মাইকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

error: দুঃখিত!