মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টা, যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের আশঙ্কা, থানায় অভিযোগ, এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
উপজেলার বালুচর বাজারের আর এস ৪৯৭ ও ১১৬৯ দাগের ১ একর ১৯ শতাংশ জমি নিয়ে দুই পক্ষ বিরোধ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনে ১৪৫ ধারায় একটি পিটিশন মামলা ৭৬৯/১৪ উপজেলার কাশমহল বালুচরের আব্দুল করিমের ছেলে শামিম আহমেদ বাদী হয়ে করেন। বিবাদী হচ্ছেন উপজেলার মোল্লা কান্দি গ্রামের মৃত রেজু বেপারির ছেলে মো. নুর হোসেন গং। মামলাটি নতিজাত রয়েছে। এর পরে দুই পক্ষ একাধিক মামলা করেছে। উক্ত জমিটি বাজারে প্রধান সড়ক সংলগ্ন। ১০ টি দোকান ও ২টি ঘর রয়েছে। বর্তমানে আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় দোকান ঘর বন্ধ রয়েছে। মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কেউ কোন কিছু ব্যাবহার করতে পারবে না। জানাযায় একটি পক্ষ নিষেধাজ্ঞা সাইন বোর্ড উপরে ফেলে দখলের পায়তারা করছে।
এলাকাবাসী ও বাজারের কিছু ব্যবসায়ী জানান, প্রতিবছর হাট বাজার ও এলাকার আধিপত্ত নিয়ে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ বাধে। এতে নারি পুরুষ সহ হাজার হাজার লোক দেশীয় অস্ত্র জুতিয়া, টেটা, রাম দা নিয়ে সংঘর্ষে জরিয়ে পরে। নিহতের ঘটনা সহ শত শত লোক আহত হয়। গত বছর অর্ধ শত আহত এবং ৮ জন জুতিয়া ও টেটা বিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেরে ভর্তি ছিল। দুই গ্রামের দুই পক্ষ এই বাজারের জমি নিয়ে আবার সংঘর্ষের আশংকা করছি। আমরা ভীত অবস্থায় ব্যবসা বানিজ্য করছি। আগে থেকে প্রশাসন ব্যাবস্থা না নিলে সমস্য বেধে যেতে পারে।
এ ব্যাপারে মো, নুর হোসেন জানান, আমার দাবীকৃত ২৪ শতাংশ জমির উপর দোকান ঘর নির্মাণ করা আছে। উক্ত জমির উপর দেওয়ানী মোকাদ্দমা ১৫৭/১৪ বিজ্ঞ আদালত মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আঃ করিম গংরা জোর বলে জমি দখলের পায়তারা করছে। বাধা দিতে গেলে মারামারি খুন জখম সহ আইন শৃঙখলা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে তাই আমি ৩ আগষ্ট থানায় জিডি করেছি। যার নং ১১১।
আঃ করিম ও শামিমের সাথে মোবাইল ফোনে চেষ্টা করে পাওযা যায়নি।
সিরাজদিখান ভূমি অফিস সূত্রে জানাযায়, উক্ত জমিতে উভয় পক্ষের দোকান পাট রয়েছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় দোকান পাট বন্ধ রয়েছে।