জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সিপাহীপাড়া চৌরাস্তার যান নিয়ন্ত্রণ ও স্থানীয় অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে সরকারি সম্পত্তি বেদখল না করতে পারায় এখানে সাধারণ মানুষের অভিযোগের তীর এখন প্রশাসনের বিরুদ্ধেই।
এদিকে যানজট নিরসনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাফিক সার্জেন্টদের উদ্যোগ না থাকায় প্রতিদিনই এখানে দূর্ভোগে পড়ছেন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা সহ ব্যবসায়ীরা।
জেলা পুলিশ যানজট নিরসনের উদ্দেশ্যে এখানে পুলিশ বক্স স্থাপন করে দিলেও বেশিরভাগ সময় দেখা যায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্জেন্টরা আড্ডা দিচ্ছেন পুলিশ বক্সের ভেতরে।
শুধুমাত্র ভিআইপি অথবা পুলিশের উর্ধ্বতন কোন কর্মকর্তার আসার খবরে তাদের কিছুটা সরব দেখা যায়। তারা চলে যাওয়ার সাথে সাথে তারা ব্যস্ত হয়ে পড়েন আড্ডায় অথবা মোটরসাইকেল আরোহীদের হয়রানি করে টাকা আদায় করতেই তারা বেশি পছন্দ করেন এবং তখন তাদের অনেকটা মনোযোগী দেখা যায়।
মূলত ট্রাফিক পুলিশ বক্স স্থাপনের পরে মানুষের ভোগান্তি কমার কথা থাকলেও তা আরও বেড়েছে।
পুলিশ বক্স ঘিড়ে এর আসেপাশে গড়ে উঠেছে অবৈধ সিএনজি ষ্ট্যান্ড। পুলিশের ষ্ট্যন্ড অপসারণের উদ্যোগ নেয়ার কথা থাকলেও দেখলে মনে হবে তারাই যেন আগলে রেখেছে ষ্ট্যন্ডটি।
এছাড়াও এখানে যাদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় তারা একেবারেই নবীন এবং অনভিজ্ঞ। তারা দাড়িয়ে অটো দাবড়িয়ে বেড়ানো ছাড়া শৃঙ্খলা আনতে ভূমিকা রাখতে পারছে না।
স্থানীয় একজন ব্যবসায়ীর সাথে আলাপকালে তিনি ‘আমার বিক্রমপুর’ কে বলেন, এখানে যে ট্রাফিক পুলিশ বক্সটি স্থাপন করা হয়েছে সেটাই তো রাস্তার উপরে। এখানে থাকার কথা রাস্তা। যেখানে এই অবৈধ সিএনজি ষ্ট্যান্ড দিনের পর দিন লালন করা হচ্ছে সেটাও সড়কের জায়গা। এগুলো রাস্তা থেকে সরিয়ে দিলেই আর যানজট থাকেনা। অথচ পুলিশ এদেরকে না সরিয়ে নিজেরাই রাস্তা দখল করে পুলিশ বক্স বানিয়ে সারাদিন ভেতরে বসে আড্ডা দেয়। মনে হচ্ছে রাস্তা তারা জোর করে দখল করে যা ইচ্ছে তাই করে যাচ্ছে। এভাবে চলতে পারে না।
এদিকে সিপাহীপাড়া চৌরাস্তার পাশেই জেলা পরিষদের নির্মিত ‘যাত্রী ছাউনি’ ও ‘পাবলিক টয়লেট’ কাগজে কলমে থাকলেও বাস্তবে কোন সাধারণ যাত্রীর বোঝার ক্ষমতা নেই কোনটা যাত্রী ছাউনি আর কোনটা পাবলিক টয়লেট৷
যাত্রী ছাউনির পুরোটা দখল করে বসেছে ফুলের দোকান। আর পাবলিক টয়লেটটিকে মৌমাছির বাসার মত ঘিড়ে রেখেছে অসংখ্য অবৈধ বানিজ্যিক দোকান। এসব দোকানের নিয়ন্ত্রক কারা সেটা বলতে পারেন না স্থানীয়রাও। তবে দোকানের সামনে রাজনৈতিক নেতাদের বিশালাকৃতির ব্যানার কিছুটা হলেও ইঙ্গিত দেয় মানুষের স্বার্থবিরোধী এসব অপকর্মের সাথে জড়িত কারা।
স্থানীয় পথচারী করিম শেখ অনেকটা আক্ষেপ করেই ‘আমার বিক্রমপুর’ কে বলেন, দিনের পর দিন এসব অনিয়ম এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। অথচ সরকারের সম্পদ রক্ষায় সরকার যাদেরকে দায়িত্ব দিয়ে রেখেছে তাদেরই কোন মাথাব্যথা নেই। আমরা সাধারণ মানুষ আমরাই বা কতটুকু কি করতে পারি!