৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | রাত ১:৫৯
সন্ত্রাসী অপু ও তার লোকজনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী!
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১৪ নভেম্বর, ২০২০, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

সন্ত্রাসী আতাউর রহমান অপু ও জহিরুল ইসলামের অত্যাচারে অতিষ্ট মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের ব্রজেরহাটি ও ডাকাতিয়াপাড়া গ্রামসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষ।

চাঁদাবাজি, জমি দখল ও মাদক ব্যবসা সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বেশ কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে ডাকাতি ও হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামী আতাউর রহমান অপুর বিরুদ্ধে।

সে বাসাইল ভুই গ্রামের মৃত রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে এবং তার সহযোগী জহিরুল ইসলাম পূর্ব ব্রজেরহাটি গ্রামের চান মিয়ার বখাটে ছেলে।

সন্ত্রাসী অপুর নেতৃত্বে নারী নির্যাতন ও যুবতী মেয়েদের রাস্তা ঘাটে যৌন হয়রানিসহ নানাভাবে নিরিহ মানুষের উপর দীর্ঘদিন যাবৎ নির্যাতন চালিয়ে আসছে তার লোকজন।

এমনকি অবৈধ অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে মহড়া দেওয়ার মত গুরুতর অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এ কারণে উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের লোকজন সন্ত্রাসী অপুর কাছে জিম্মি হয়ে আছেন।

অপু ও তার লোকজনের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে নারাজ। আর একারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখে ফাঁকি দিয়ে অপু ও তার লোকজন এলাকায় অপরাধের রামরাজত্ব কায়েম করে চলেছে।

সম্প্রতি ব্রজেরহাটি গ্রামের ১৬ বছরের এক কিশোরীকে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করার পর ওই কিশোরী রাজি না হওয়ায় মা ও মেয়েকে গ্রাম ছাড়া করতে বাধ্য করে অপুর সহযোগী সাব্বির নামে আরেক বখাটে সন্ত্রাসী।

ওই কিশোরীর বাবা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সাব্বির আমার শ্যালককে বলে আমি যখন যেখানে বলবো তোর ভাগনিকে সেখানে নিয়ে আসবি! তোর ভাগনির সাথে অপু ভাই ইনজয় করতে চায়! পরে আমার শ্যালক আমাকে এগুলো বলার পর আমি অপুর দুলাভাইের কাছে বিচার দেই। আমি তাদের বিরুদ্ধে বিচার দিয়েছি বলে তারা আমার মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে ধর্ষন করবে বলে হুমকি দেয়। তাই মানইজ্জত থাকতে আমার বৌকে দিয়ে মেয়েকে ময়মনসিংহ আমার দেশের বাড়ীতে পাঠিয়ে দিয়েছি।

তাদের বিরুদ্ধে কি আর বলবো। বললে হয়ত পরদিন আমার লাশ পরে থাকবে।

সূত্র জানায়, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত অপু ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দূরের কথা তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায়না।

স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার ছত্রছায়ায় অপু ও তার লোকজন আধিপত্যের সাথে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া অপু ও তার লোকজন টাকার বিনিময়ে ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসেবেও কাজ করে।

কয়েকদিন আগে ওই এলাকার স্থানীয় এক ব্যক্তির মোবাইল ফোনে গোপনে ধারনকৃত ভিডিও ফুটেজে অপুর দুই সহযোগীকে প্রকাশ্যে ভারী অস্ত্র নিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অপুর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সম্পর্কে সুস্পষ্ট অভিযোগ না থাকায় দিন দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে।

এদিকে গতকাল শনিবার দুপুরে সন্ত্রাসী আতাউর রহমান অপুকে আটকের লক্ষ্যে তার বাড়ীতে অভিযান চালায় সিরাজদিখান থানা পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় সে।

সিরাজদিখান থানার ওসি শেখ রিজাউল হক জানান, আমরা অপুকে গ্রেপ্তারের জন্য আজকে অভিযান পরিচালনা করেছি। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সে পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

error: দুঃখিত!