১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বৃহস্পতিবার | রাত ১০:৫৮
সদরে বিনোদন কেন্দ্রের অভাবে মানুষ ঝুকছে ঝুঁকিপূর্ণ বিনোদনে
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ জেলা সদরে কোথায় সরকারি বা বেসরকারি কোন বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় দিনের পর দিন এ অঞ্চলের মানুষ ঝুকছে ঝুঁকিপূর্ণ বিনোদনের দিকে।

এমন অবস্থায় কোন উৎসব পালন করতে গিয়ে তারা মিলিত হচ্ছে পরিবহন পারাপারের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ব্রীজে। অাবার কেউ সময় পার করছে নদীর পাশে বসে বেড়িবাঁধে। বাকিরা ভ্রাম্যমাণ ঘোড়াঘুড়িতে নিজেদের ব্যস্ত রাখছে। এতে করে রাস্তাগুলোতে বাড়তি চাপের সৃষ্টি হয়ে দূর্ভোগের কারন হয়ে দাড়াচ্ছে।

সদরে রয়েছে একটি মাত্র সিনেমা হল। তার অবস্থা অারও ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে নারীদের জন্য একেবারেই অনিরাপদ।

এছাড়াও অাছে বিদেশী বিনোদনের চর্চা। রাস্তাজুড়েই দেখা যায় ট্রাক বা পিকঅাপের উপরে সাউন্ড বক্স, জেনারেটর উঠিয়ে নাচানাচি করছে উঠতি তরুণরা। অাবার নদীতে গেলেও দেখা যাচ্ছে ট্রলারে একই অবস্থা।

এভাবে চলতে থাকলে বাংলা সংস্কৃতির অভাবনীয় অধঃপতন ঘটবে বলে মনে করেন সাংস্কৃতিক কর্মী জাহাঙ্গীর অালম।

তিনি মনে করেন, মানুষের অন্যন্যা চাহিদার মতই উৎসব উদযাপন বা বিনোদনকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া দরকার। তানাহলে সমাজে বিশৃঙ্খলা বাড়ে। অসুস্থ সংস্কৃতি চর্চার দিকে মানুষ ঝুকে পড়ে।

মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরে ব্যস্ততম ও প্রধানতম পরিবহন পাড়াপাড়ের সেতু ‘ষষ্ঠ বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সেতু’তে পহেলা বৈশাখের দিন গিয়ে দেখা যায় সেতুর দুই সাইডে মানুষ চলাচলের সামান্যতম জায়গাটিতে এপার থেকে ওপার পর্যন্ত বিপুল মানুষ দাঁড়িয়ে অাছেন। তাদের কাছে এতেই বিনোদন অনুভূত হচ্ছে। অথচ যে কোন মুহুর্তে কোন গাড়ি স্লিপ করে রেলিংয়ে উঠে গেলে মারাত্মক দূর্ঘটনা ঘটে যাবে।

error: দুঃখিত!