মোঃ আরিফ হোসেনঃ শ্রীনগরে ধর্ষণের মামলা তুলে না নেওয়ায় এক ধর্ষিতার বাবাকে মারধরের একদিন পর আবার ভাইয়ের উপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে শ্রীনগর-মুন্সিগঞ্জ সড়কের কোলা পোষ্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় ধর্ষকরা ১০-১২ জন লোক নিয়ে এ ঘটনা ঘটায়। এঘটনায় আহত ওই স্কুল ছাত্রীর ভাইকে (১৬) শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ওই এলাকার পঞ্চম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী ২০১৭ সালের সেপ্টেমর মাসের এক সন্ধ্যায় ফুফুর বাড়ী সোন্দার দিয়া থেকে নিজ বাড়ী সিংপাড়ায় ফেরার পথে শহিদুল ও নয়ন নামে দুই যুবক আটকে রেখে ধর্ষণ করে। ওই সময় ধর্ষিতার ফুফু বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
ওই স্কুল ছাত্রীর পারিবারিক সূত্র জানায়, তার মা মারা যাওয়ায় এবং বাবা মালয়েশিয়া প্রবাসী হওয়ায় সে বেশীর ভাগ সময় তার ফুফুর বাড়ীতে থাকতো। ২ মাস আগে স্কুল ছাত্রীর বাবা দেশে আসলে ধর্ষকরা জামিনে এসে তাকে মামলা তুলে নেওয়া জন্য নানা রকম ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। নিজের উপর হামলার বিষয়টি আশংকা করে ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা ১ সপ্তাহ আগে শ্রীনগর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। এতে ধর্ষকরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং গত সোমবার সন্ধ্যায় মারধর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এসময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরদিন ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। এর পরদিনই ওই স্কুল ছাত্রীর ভাই সাইকেলে চড়ে সিংপাড়া বাজার থেকে সোন্দারদিয়া যাওয়ার পথে ধর্ষকরা লোকজন নিয়ে পথরোধ করে আটকে নির্যাতন শুরু করে। কিছুক্ষন পর কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত মীর ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় ঘটনাটি দেখে ওই ছাত্রীর ভাইকে উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে শ্রীনগর থানার ওসি মোঃ ইউনুচ আলী জানান, ধর্ষিতার বাবাকে মারধরের ঘটনায় মঙ্গলবার মামলা হয়েছে। ভাইকে মারধরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।