শ্রীনগর উপজেলার মধ্য কামারগাঁও এলাকার মো: সোহাগ ফকির (২০) নামের এক যুবক নিখোঁজ হয়েছে। বালাসুর গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে সোহাগ বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আর সে বাড়ি ফিরেনি। ৪১ দিন যাবত মটর বাইকসহ সোহাগ নিখোঁজ। নিখোঁজ মো: সোহাগ ফকির মধ্য কামারগাঁও এলাকার বাসিন্দা মো. শহিদুল ফকির এর ছেলে। মো: সোহাগ ফকির ১৭ সেপ্টেম্বর পালসার মটর বাইক নিয়ে বন্ধুদের সাথে শ্রীনগর থানার বালাসুর গ্রামে বিয়ের দাওয়াতে গিয়ে সে আর ফিরে আসেনি।
মো: শহিদুল ফকির জানান, ১৭ সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বালাসুর বাজারে বন্ধু সুমনের দোকানে যায়। আমার ছেলে সেখান থেকে আর ঘরে ফিরেনি।
শহিদুল ফকির আরো জানান, সুমনকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায় আমার দোকানে সোহাগ এসে তার পালসার মটর বাইকের কাগজ পত্র ও হেলমেট নিয়ে বালাসুর গ্রামের কাশেম ব্যাপারীর ছেলে মো: অপু ও মোকশেদপুর গ্রামের মান্নান ব্যাপারীর ছেলে সিয়ামের সাথে মাটর বাইক নিয়ে বাহির হয়। এরপর সে আর কিছু জানেন না।
নিখোঁজের বাবা শহিদুল ফকির ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে আমরা মোবাইল ফোনে অনেক যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার কোন খোঁজ খবর পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত অপু ও সিয়ামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা দুই জন আমাকে ও পরিবারের সদস্যদের নানা জায়গা পাঠায়। এতোও কোন লাভ হয়নি। এ ঘটনায় আমি শ্রীনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করি।
তিনি জানান, তাদের সন্দেহ তার ছেলেকে তার বন্ধু মো: অপু ব্যাপারী ও সিয়াম ব্যাপারী আটক করে রেখেছে অথবা হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলেছে। এ বিষয় নিয়ে কয়েক বার থানায় অভিযোগ জানানোর পরেও পুলিশ তার ছেলেকে উদ্ধার করার কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
৪১ দিন পার হয়ে গেলেও তারা জানেন না তার ছেলে জীবিত না মৃত। তিনি বলে কতটা দিন পার হয়ে গেলে পুলিশ তদন্ত করছে, আর এর ফাকে অপু ও সিয়াম গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাহিদুর রহমান জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ এবং নিখোঁজ ব্যক্তির খোঁজে বেশ কয়েটি জায়গায় তল্লাসি চালানো হয়েছে।