মুন্সিগঞ্জ, ২১ আগস্ট, ২০২২, শ্রীনগর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের উমপাড়ায় ড্রেজার ব্যবসায়ীর ভরাট বাণিজ্যের ফলে গ্রামীণ রাস্তা ভেঙ্গে গেছে।
জানা গেছে, ওই এলাকার মামুনের ধানের চাতাল থেকে হাওলাদার পাড়া পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার গদারপাড়া নামক স্থানে প্রায় আড়াইশ ফুট রাস্তা ড্রেজারের পানির চাঁপে ভেঙ্গে গেছে।
ঢাকার ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম হাজির একটি জমি ভরাট কাজের জন্য ড্রেজার ব্যবসায়ী মো. মফিজ ঠিকা নেয়। জায়গাটি ভরাট কাজে রাস্তার ওপর দিয়ে ড্রেজার পাইপের সংযোগের ফলে রাস্তার মাটি ধ্বসে পাশের ডোবায় গিয়ে পড়ে। এতে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় এলাকাবাসীর যাতায়াতে দূর্ভোগ বাড়ে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগের কাঁচা রাস্তাটির হাওলাদার পাড়ার সামনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরে গদার পাড়ায় একটি জমি ভরাট কাজ চলছে। এ কাজে অবৈধভাবে রাস্তার উপর দিয়ে ড্রেজার পাইপের সংযোগ দেওয়ার ফলে রাস্তায় মোটরসাইকেল ও অটোরিক্সাসহ অন্যান্য যান চলাচলে বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছে।
অন্যদিকে ড্রেজারের পানির চাঁপে আড়াইশ ফুট রাস্তার পুরোটাই ভেঙ্গে পাশের ডোবায় চলে গেছে। এতে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা চলাফেরায় দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজুল ইসলাম লিটন, সাধারণ সম্পাদক পাভেল রহমান বাবু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিন ও শাহারিয়ার হাসান ওয়াহিদসহ অনেকেই বলেন, জমি ভরাট কাজে সংযোগকৃত ড্রেজারের পানির চাপে সরকারি কাঁচা রাস্তার এ অংশটা ভেঙ্গে পড়েছে। এলাকার ২৪শ’ পরিবারের প্রায় ৫ হাজার মানুষের চলাফেরায় দূর্ভোগ হচ্ছে। রাস্তার উপর দিয়ে ড্রেজারের পাইপ সংযোগ দেওয়ায় কোন যান চলাচল সম্ভব হচ্ছেনা। এতে করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পায়ে হেঁটে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতে হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম লিপটনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে মফিজকে বলেছি রাস্তার ভাঙ্গা স্থানে বালু দিতে আর স্থানীয় জনগণকে বলেছি বেড়ার খরচ দিতে।
ড্রেজার ব্যবসায়ী মো. মফিজের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দম্ভ করে বলেন, আমরা জনগণকে বলেছিলাম রাস্তায় বেড়া দিতে। তারা বেড়া দেয়নি এ কারণে ড্রেজারের পানির চাপে রাস্তা ভেঙ্গে গেছে। এটা আমার বিষয় না।
ভরাটকৃত জমির মালিক নুর ইসলাম হাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঢাকায় থাকি। ড্রেজার ব্যবসায় মফিজকে মাটি ভরাট কাজে ঠিকা দিয়েছি। রাস্তা ভাঙ্গার বিষয়ে মফিজ আমাকে কিছু জানায়নি।
এ ব্যাপারে ষোলঘর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার মো. শাহিন জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। এখনই খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।