মুন্সিগঞ্জ ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, লৌহজং প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
পলি জমে পদ্মার চ্যানেলে গভীরতা কমে যাওয়ায় এবং তীব্র স্রেতের কারণে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ঘাটের মধ্যে ফেরি পারাপার বন্ধ রয়েছে।
শনিবার রাত ৩টা থেকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই নৌরুট বন্ধ থাকায় পদ্মাপাড়ের দুই ঘাটে আটকা পড়েছে পাঁচ শতাধিক যানবাহন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের লাইন দীর্ঘ হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) এজিএম নাসির উদ্দিন চৌধুরী রোববার সকালে বলেন, গত সপ্তাহখানেক ধরেই এ নৌরুটে ফেরি চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছিল।
“আজ ভোর রাতে লৌহজং টার্নিংয়ের মুখে নাব্য সঙ্কট মারাত্মক আকার ধারণ করে। চ্যানেলে ফেরি ঢুকতে পারছিল না। তাই ফেরিগুলো ঘাটে ফিরে আসে। এই নৌরুটের ১৬টি ফেরিই এখন অলস সময় কাটাচ্ছেন। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে।”
নাসির উদ্দিন বলেন, ফেরি চলাচলের মত গভীরতা বাড়াতে লৌহজং টার্নিংয়ের মুখে ড্রেজিং চলছে। তবে লঞ্চ চলাচল করায় বাসের যাত্রীদের লঞ্চে পার করা হচ্ছে।
মাওয়ার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হেলাল উদ্দিন জানান, ফেরি বন্ধ থাকায় ঘাটে যানজট বাড়ছে। শিমুলিয়া ঘাটের পার্কিং ইয়ার্ড ছাড়িয়ে গাড়ির লাইন মহাসড়কেও ছড়িয়ে পড়েছে।
একই পরিস্থিতি পদ্মার অন্যপাড়ের কাঁঠালবাড়ি ঘাটেও। সেখানেও পণ্যবাহী ট্রাক, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার মিলিয়ে কয়েকশ যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
জাহিদুল বাশার নামে একজন সংবাদকর্মী জানান, তার এক আত্মীয় তার শিশু সন্তানের লাশ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে খুলনা যাওয়ার পথে শিমুলিয়া ঘাটে আটকা পড়েছেন। কখন পার হতে পারবেন, সে বিষয়ে কেউ তাকে কোনো ধারণা দিতে পারেননি।
কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, “এ নৌপথ সচল রাখার জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই ড্রেজিং চলছে। কিন্তু পদ্মায় তীব্র স্রোতে পলি বেশি আসায় সমস্যায় পোহাতে হচ্ছে। ফেরি চলার মত নাব্যতা পাওয়া গেলেই পারাপার শুরু হবে।”