ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ পড়ে ভোলার তজুমদ্দিনে আকরাম (১২) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া রেখা (১৮) ও রহিম (৯) নামে আরও দু’জনের মৃত্যুর খবর প্রাথমিকভাবে পাওয়া গেছে। ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে তজুমদ্দিন উপজেলা শহরসহ আশপাশের গ্রামগুলো। কয়েক হাজার কাচা ঘরবাড়ি দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়েছে। শশীগঞ্জ বাজারের অন্তত দুই শতাধিক দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছপালা ভেঙেছে। এছাড়া ভোলার চরাঞ্চল কয়েক ফুট পানিতে তলিয়ে গিয়ে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। এখনো গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সাথে থেমে থেমে দমকা বাতাস বইছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু বাংলাদেশ উপকূলের দিকে আরও এগিয়ে এসেছে। শনিবার ভোর ৬টা নাগাদ এটি পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে মাত্র ১৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শনিবার ভোররাত থেকেই দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চল এবং রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি চলছে আগের দিন থেকেই।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু আরও পূর্ব-উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে অগ্রসর হয়ে সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে কোনো এক সময় বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে আগের মতোই ৭ নম্বর এবং কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার ১৭ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, শনিবার সকাল ৬ টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ২৫৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৩০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।