আকস্মিক দেশের সাতটি জেলার পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়ে দালালদের দৌরাত্ম্য, পাসপোর্টে ঘুষের লেনদেন এবং এসবে প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আকস্মিক এই অভিযানে চার ‘দালালকে’ আটকের কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
দুদকের ভিন্ন ভিন্ন টিম বৃহস্পতিবার দিনাজপুর, বরিশাল, কুমিল্লা, টাঙ্গাইল, সিলেট, মেহেরপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলায় এ অভিযান চালায় বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান।
তিনি বলেন, অভিযানে মেহেরপুর, মুন্সীগঞ্জ, কুমিল্লা ও দিনাজপুর পাসপোর্ট অফিস থেকে চারজন ‘দালালকে’ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে দুদক দল। এরপর তাদের সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের জরিমানা ও বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে বলে জানান প্রনব।
হঠাৎ এই অভিযানে মুন্সিগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক হালিমা খাতুনের দায়িত্বে ‘অবহেলার প্রমাণ পাওয়ার’ কথা জানান দুদক কর্মকর্তারা।
প্রনব কুমার বলেন, মুন্সিগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে সাধারণ পাসপোর্টের ক্ষেত্রে মূল ফির অতিরিক্ত দেড় হাজার টাকা এবং জরুরি পাসপোর্টের ক্ষেত্রে চার হাজার টাকা অতিরিক্ত ফি আদায় করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া অফিসে ঘুষ প্রদান না করলে ইচ্ছাকৃতভাবে পাসপোর্টে বিভিন্ন ধরনের ত্রুটির সৃষ্টি করা হয়।