গজারিয়াবাসীর অসহনীয় দূর্ঘোব লাঘবের দিন ছিলো ০৩ই জুন রবিবার। এদিন মুন্সিগঞ্জ থেকে গজারিয়ার সাথে ফেরি সার্ভিস চালুর মাধ্যমে প্রায় ৪৭ বছরের লালিত স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপরপরই ফেরি দিয়ে গাড়ি নিয়ে মুন্সিগঞ্জ থেকে গজারিয়া পার হন স্থানীয় সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস, গজারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেফায়েতুল্লাহ খান তোতা ও গজারিয়া অাওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অামিরুল ইসলাম সহ স্থানীয় জনগণ।
ফেরিঘাট ও ফেরি সার্ভিস উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা গজারিয়াবাসীর জন্য ঈদ উপহার।’
মুন্সিগঞ্জ সদর থেকে গজারিয়া উপজেলায় যেতে হলে ৫০ কিলোমিটার সড়ক পথ পাড়ি দিতে হতো। যেখানে সময় লেগে যেত ২ থেকে অাড়াই ঘন্টা। ফেরি সার্ভিস চালুর মধ্য দিয়ে মাত্র ৭ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জেলা সদর থেকে গজারিয়ায় পৌঁছানো যাবে। ফেরিতে উঠার পরে পার হতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট। মেঘনা নদীতে এই ফেরি সার্ভিস চালুর মধ্য দিয়ে জেলা সদর থেকে গজারিয়া উপজেলায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে দূরত্বও কমলো।
স্থানীয়রা বলছেন, এটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলার বিকল্প সংযোগ হিসেবে বিবেচিত হবে। গজারিয়ায় ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, বাস্তবায়নাধীন শিল্পপার্ক, গার্মেন্টস এবং কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের বিষয়গুলো বিবেচনায় এই ফেরি সার্ভিস চালু করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
বিশেষ করে পদ্মা সেতু নির্মিত হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে মোংলা ও পায়রা বন্দরের যোগাযোগের প্রবেশদ্বার হবে গজারিয়া-মুন্সিগঞ্জ নৌ-ফেরি সার্ভিস রুট।
ভিডিও কনফারেন্সের সময় মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কে এম আলী আজম, মুন্সিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা অাওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন, স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক, জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম প্রমুখ।