ঢাকা-মাওয়া-লৌহজং মহাসড়কের কুমারভোগ পদ্মা সেতু পূর্ণবাসন কেন্দ্রের সামনের রাস্তায় ঢাকাগামী একটি বাসের চাপায় রিক্সারোহী রিয়া বেগম (৩০) নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এতে উত্তেজিত হয়ে স্থানীয় জনতা টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুড়ি ফেলে দেড় ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা জাকির হোসেন জনতাকে মহাসড়ক থেকে সরাতে চলা (কাঠের বড় টুকরা) দিয়ে জনতাকে তাড়া করে। এসময় ওসি’র শরীরে পুলিশের পোষাক ছিলো না।
এর পরপরই স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হয়ে ওসিকে থাপ্পর-ঘুষি সহ লাঠি দিয়ে পেটায়।
পরিস্থিতি খারাপ দেখে ওসি রাস্তা দিয়ে যাওয়া একটি মটর সাইকেলে উঠে দ্রুত ঘটনাস্থল ছেড়ে পালায়।
পরে এএসপি মো সামসুজ্জামানের সাথে বেঠকের পর দুপুর ১ টায় অবরোধ তুলে নেয় জনতা।
প্রত্যক্ষদর্শী হাজী মো দাউদ খান জানান, আমার বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। ওসির মোবাইলটি আমার কাছে আছে। থানায় খবর দেওয়া হয়েছে। নিহত রিমা বেগম একটি রিক্সায় করে পদ্মা সেতু পূর্ণবাসন কেন্দ্রে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিল। এ সময় পূর্ণবাসন কেন্দ্রের সামনের রাস্তায় ঢাকাগামী টুঙ্গীপাড়া পরিবহনের একটি বাস পিছন থেকে রিক্সাটিকে চাপা দিলে রিক্সারোহী রিমা বেগম ছিটকে বাসের নীচে পরে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
সহকারী পুলিশ সুপার মো সামসুজ্জামান জানান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মহাসড়কে যান চলাচল সচল করা হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে বাসটি পালিয়ে গেছে। বাসটি আটকের চেষ্টা চলছে।
নিহত রিয়া বেগম কুমারভোগ গ্রামের কুয়েত প্রবাসী আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী।
-জনকন্ঠ ও নিজস্ব প্রতিবেদক, ছবি: কালেরকন্ঠ