মুন্সিগঞ্জ, ৯ নভেম্বর, ২০২২, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ সদরে প্রেমজনিত ঘটনার জের ধরে এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে মারধর-মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগে মনির হোসেন সজল (৩৮) নামের শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জ শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. তারিকুজ্জামান।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা’র দিকে মুন্সিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ গেইটের সামনে ওই ছাত্রীকে মারধর ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া ও অপহরণের হুমকির অভিযোগ উঠে।
পরে রাতে এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা। অভিযুক্ত মনির হোসেন সজল মুন্সিগঞ্জ কলেজের সাবেক খন্ডকালীন শিক্ষক। তিনি বর্তমানে একটি কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করছেন। ভুক্তভোগী পরিক্ষার্থী সরকারি হরগঙ্গা কলেজের ছাত্রী ও এইচএসসি পরিক্ষার্থী। এই শিক্ষকের সাথে একসময় তার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো বলে শিক্ষক মনির হোসেন সজল দাবি করেন।
মামলা ও ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা আব্দুল আজিজ জানান, কোচিং সেন্টারে পড়ার সময় ওই শিক্ষকের সাথে আমার মেয়ের পরিচয় হয়। এরপর থেকেই বিভিন্ন সময় শিক্ষক মনির হয়রানীসহ প্রেম নিবেদন এবং বিয়ের প্রস্তাব দেয়। রাজী না হওয়ায় ওই শিক্ষক ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় রাস্তাঘাটে এবং মোবাইলে আপত্তিকর ছবি ভাইরাল করার ভয়ভীতি প্রদান করে আসছিলো। যা নিয়ে ইতিপূর্বে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়। পরবর্তীতে বিবাদীর ভয়ে আমি পরিবার সহ সদর থেকে সিরাজদিখান চলে যায়।
গতকাল মঙ্গলবার সিরাজদিখান থেকে ছাত্রী, তার মা ও মামাতো বোনকে সঙ্গে নিয়ে এইচএসসি পরিক্ষায় অংশ নিতে সদর উপজেলার সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে আসে।
কেন্দ্রের সামনে পৌছালে তাদের বহনকারী ব্যাটারিচালিত মিশুক পথরোধ করে শিক্ষক মনির হোসেন সজল ছাত্রীর হাত ধরে জোর করে মিশুক গাড়ী হতে নামিয়ে মারধর ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এসময় ছাত্রীর মা ও মামাতো বোন বাধা দিলে অভিযুক্ত শিক্ষক তাদের ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। পরীক্ষা দিয়া বের হলে ছাত্রীকে অপহরণের হুমকি দিয়ে চলে যায় মনির।
অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ওসি তারিকুজ্জামান জানান, ভুক্তভোগীর বাবার মামলার প্রেক্ষিতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
