মুন্সিগঞ্জ, ২১ নভেম্বর ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ সদরে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে সদর থানায় অভিযুক্ত শিক্ষককে প্রধান আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন ভুক্তভোগী শিশুর মা।
মামলায় অভিযোগ করে বলা হয়- সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের চাম্পাতলা এলাকার মারকাযুল হক মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা ফেরদৌস (২৫) ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া ভুক্তভোগী ১৩ বছর বয়সী শিশুটিকে প্রায়ই বলাৎকার করতেন। সর্বশেষ গত ১২ নভেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে ওই মাদ্রাসার আরেক শিক্ষক মাওলানা হাবিবুর রহমানের কাছ থেকে ভুক্তভোগী শিশুকে শিক্ষক ফেরদৌস নিজের রুমে নিয়ে যান। পরে ভুক্তভোগীকে বেত্রাঘাত করে জোরপূর্বক বলাৎকার (যৌন নির্যাতন) করেন। পরদিন শিশুটি তার বাড়িতে গেলে পিঠে বেত্রাঘাতের দাগ দেখতে পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে বিস্তারিত ঘটনা পরিবারকে জানায়। পরে ওই শিশুকে ২৫০ শয্যা মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে আজ সকালে থানায় মামলা দায়ের হয়।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা ফেরদৌসকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি।
মারকাযুল হক মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মিনহাজুদ্দীন বলেন, ‘ঘটনাটি আমি স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেছি। ওই শিক্ষক অপরাধ করে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ। অপরাধীদের বিষয়ে কোন ছাড় দেয়া উচিৎ নয়।’
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) সজিব দে মামলার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘বলাৎকারের বিষয়টি নিশ্চিতে ওই শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’