২০শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বৃহস্পতিবার | ভোর ৫:০৩
মুন্সিগঞ্জে যৌতুকের জন্য গৃহবধুকে নির্যাতন
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, বিশেষ প্রতিবেদক (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের খিলাপাড়া গ্রামে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী আরিফ শেখের বিরুদ্ধে।

নির্যাতনে স্ত্রীর বাম পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক আঘাতের কারণে ওই গৃহবধূকে সিরাজদিখান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গত শুক্রবার সকাল ৮টায় আরিফ সেক তার সিরাজদিখান কাঠপট্টি দেলোয়ারের ভাড়া বাড়িতে নির্যাতনের এ ঘটনা চালায়।

এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা মো. তাজুল ইসলাম বাদি হয়ে সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দক্ষিন রাঙ্গামালিয়া ধামালিয়া গ্রামের আনোয়ার শেখ এর ছেলে আরিফ শেখ এর সাথে চার বছর আগে একই ইউনিয়নের মো. তাজুল ইসলামের বড় মেয়ে এ্যানী আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নানা সময়ে আরিফ সেক ও তার মা পাভীন বেগম এ্যানী আক্তারকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে আসছে।

রোববার সকালে নির্যাতিত এ্যানীর বাবা মো. তাজুল ইসলাম ও মা আসমা বেগম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, যৌতুকের জন্য মেয়ের জামাই নানা সময়ে নির্যাতন করেছে। তাই মেয়ের শান্তির কথা চিন্তা করে যৌতুকলোভী মাদকসেবী জামাই আরিফ শেখের বিরুদ্ধে কয়েক বার বিচার শালিস হওয়ার পরেও মেয়ের জামাইকে বিভিন্ন সময়ে অনেক বুঝিয়েছি। এরপরও নির্যাতন থেমে থাকেনি। ঘটনার দিন আরিফ শেখ ও তার মা পারভীন বেগম তিনলাখ টাকার যৌতুকের বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এ্যানী আক্তারকে অকথ্য নির্যাতন চালায়। তাদের নির্যাতনে এ্যানীর বাম হাত, পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে বটি দা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম হয়।

এ ঘটনার খবর পেয়ে তাজুল ইসলাম আশপাশ এলাকার লোকদের সহায়তায় মেয়েকে দ্রুত উদ্ধার করে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ঢাকা হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। এ ঘটনায় তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে আরিফ শেখ সহ দুইজনকে অভিযুক্ত করে গেল শুক্রবার রাতে সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

যৌতুকের বিষয়টি অস্বীকার করে আরিফ শেখ বলেন, আমি বিদেশ যাওয়ার জন্য কিছু টাকা সংগ্রহ করে রাখি। এই টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির সময়ে পারিবারিক ঝগড়াঝাটি হয়। এ সময়ে এ্যানী রাগাম্বিত হয়ে আমাকে মারতে চাইলে আমি বাধা দেই। তবে তাকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি।

সিরাজদিখান থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. ফরিদউদ্দিন বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

error: দুঃখিত!