মুন্সিগঞ্জ, ১২ আগস্ট, ২০২১, শ্রীনগর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া এলাকার ছত্রভোগে মোবাইলে গেইম খেলাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায়য় ওই এলাকার নুরু ফকিরের স্ত্রী শাহেনা বেগম (৭০), তার মেয়ে শিল্পী বেগম (৪০), পুত্র রিপন ফকিরসহ (৪৫) নাতি সুজন ফকির (১০) আহত হয়।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ছত্রভোগ রাজ্জাকের চায়ের দোকানের সামনে ওই এলাকার মো. ফকর চৌধুরীর পুত্র মাটি ব্যবসায়ী মোজাম্মেল চৌধুরীর নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে বলে হামলার স্বীকার ব্যক্তিরা অভিযোগ করেছে।
হামলার শিকার আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় ভূক্তভোগী মো. রিপন ফকির বাদি হয়ে শ্রীনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার ছত্রভোগে আব্দুল রাজ্জাকের দোকানের সামনে বসে রিপনের ছোট ভাই জুয়েল (২৫) ও প্রতিবেশী মোকশেদ বেপারীর পুত্র মো. ঠান্ডু বেপারী (৩০) মোবাইল ফোনে গেইম খেলছিল। খেলা নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথাকাটি হয়। এ নিয়ে বিচার সালিশ মানা হয়। তার ২ দিন পরে মঙ্গলবার পুর্ব শত্রুতার জের ধরে মোজাম্মেল চৌধুরী জুয়েলকে মারধর করে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে জুয়েলের ভাই রিপন ফকির দোকানের সামনে গেলে মোজাম্মেলের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা রিপনকে মারধর করে। খবর পেয়ে রিপনের মা বোন ও শিশু পুত্র ঘটনাস্থলে আসলে তাদেরকেও মারধর করা হয়।
রিপন ফকির অভিযোগ করে বলেন, পুর্ব শত্রুতার জেরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোজাম্মেল চৌধুরী এই হামলা চালায়।
মোজাম্মেলের সহযোগী হেলাল চৌধুরী, আরিফ খা, পিন্টু খা, মোকশেদ বেপারী গং এক পর্যায়ে আমার পরিবারের ওপর হামলা চালিয়ে সবাইকে আহত করে।
ভূক্তভোগী শিল্পী বেগম বলেন, হামলাকারীরা আমাকে মারধর করে ও বস্ত্র হরনের চেষ্টা করে। অনেক কষ্টে নিজেকে রক্ষা করি।
এছাড়াও মোজাম্মেল আমার কাছ থেকে বাকিতে মাছ কিনে টাকা পরিশোধ করেনি। তার কাছে এখনও মাছ বিক্রির ১৭ হাজার টাকা পাওনা আছি। পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয় বলে রিপন দাবি করেন।
মোজাম্মেল চৌধুরীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা আমার নামে মিথ্যা বলছে। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। এই হামলার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই
এ ব্যাপারে শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হেদায়াতুল ইসলাম জানান, উভয় পক্ষই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।