২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার | সকাল ৮:১০
মুন্সিগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিফলক, স্মৃতিস্তম্ভ ও বধ্যভূমি
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ডেস্ক রিপোর্ট (আমার বিক্রমপুর)

অঙ্কুরিত যুদ্ধ ১৯৭১– মুন্সিগঞ্জ জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র সুপারমার্কেট চত্বরে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্মরণে এই ভাস্কর্যটি ২০১১ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্মিত হয়।

অঙ্কুরিত যুদ্ধ ১৯৭১। ছবি: সংগৃহীত।

পতাকা একাত্তর– মুন্সিগঞ্জ শহরের দক্ষিণ কোটগাঁও এলাকার লিচুতলায় নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবির স্মরণে মুষ্টিবদ্ধ ছয়টি হাত ও মুক্তিযুদ্ধের সময়কার মানচিত্রখচিত পতাকা সংবলিত ভাস্কর্য। ২০১৮ সালের ২ মার্চ তৎকালীন জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে এটি নির্মাণ করা হয়।

পতাকা একাত্তর ভাস্কর্য। ছবি: সংগৃহীত।

হরগঙ্গা কলেজ বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ– মুন্সিগঞ্জ শহরে অবস্থিত সরকারি হরগঙ্গা কলেজের পেছনে অবস্থিত এই বধ্যভূমিটি জেলার কেন্দ্রীয় বধ্যভূমি হিসেবেও পরিচিত। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে হরগঙ্গা কলেজের এই স্থানটিকে বধ্যভূমি হিসেবে শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে সরকারী উদ্যোগে এখানে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়।

হরগঙ্গা কলেজ বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ। ছবি: সংগৃহীত।

মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ– মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভবেরচরে (ঢাকা- চট্রগ্রাম) মহাসড়কের পাশে ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানী বাহিনীর গুলিতে ১২ জন শহিদ মুক্তিযোদ্ধোদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর এটি নির্মিত হয়।

মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ গজারিয়া। ছবি: সংগৃহীত।

আব্দুল্লাপুর-পালবাড়ি বধ্যভূমি– মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের পাল বাড়িতে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৭ জন নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যা করে পাকবাহিনী। পরবর্তীতে নিহতদের স্মরণে স্থানীয়দের উদ্যোগে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়।

আব্দুল্লাপুর-পালবাড়ি বধ্যভূমি। ছবি: সংগৃহীত।

শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক– শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সংবলিত এই স্মৃতিফলকটি মুন্সিগঞ্জ জেলা শহরের জুবলি রোডে ২০০৭ সালের ২৭ জুন নির্মিত হয়। স্মৃতিফলকের গায়ে মুন্সিগঞ্জের ৫০ জন শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম রয়েছে।

শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক। ছবি: আমার বিক্রমপুর।

কামারগাঁও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর– মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামে অবস্থিত একক ব্যক্তি উদ্যোগে নির্মিত দেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক জাদুঘর। ২০১০ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নূরুল ইসলাম খোকন এটি নির্মাণ করেন।

কামারগাঁও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। ছবি: আমার বিক্রমপুর।

গোয়ালীমান্দ্রা বিজয়স্তম্ভ– মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গোয়ালীমান্দ্রা এলাকায় ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব গাঁথা প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে ২০১১ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন-অর-রশিদের উদ্যোগে স্তম্ভটি নির্মিত হয়।

গোয়ালীমান্দ্রা বিজয়স্তম্ভ। ছবি: সংগৃহীত।
error: দুঃখিত!