মুন্সিগঞ্জ, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় এজাহারে নাম না থাকলেও সন্দেহভাজন হিসাবে এক ব্যবসায়ীকে ধরতে গিয়ে স্থানীয়দের কাছে মারধরের শিকার হয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ৩ সদস্য।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিসহ আরও ১৭ জনের নামোল্লেখ করে সরকারি কাজে বাঁধাদান ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে ডিবির পক্ষ হতে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকাল ৫ টার দিকে সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর বাজারে ওই এলাকার মৃত ধলু মিয়ার পুত্র আমির হোসেনকে আটক করতে যান জেলা ডিবির সাব ইন্সপেক্টর মো. রফিক, মোহাম্মদ শফিকুল আলম, সৈয়দ হাসিব আলী, সহকারী উপ পরিদর্শক আব্দুল কাদের শেখ, কনস্টেবল আমির আহম্মেদ ও কনস্টেবল জাহিদ।
ঘটনার দিন বালুচর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আমির হোসেনকে আটক করে নিয়ে আসতে গেলে স্থানীয়রা ডিবি পুলিশকে ঘিরে ধরে। একপর্যায়ে ৪০-৪৫ জন হামলা ও মারধর করে আটক আমিরকে ডিবির কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এসময় হামলা-মারধরে ডিবির সাব ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ শফিকুল আলম, উপ সহকারী পরিদর্শক আব্দুল কাদের শেখ, কনস্টেবল আমির আহম্মেদ ও বেসরকারি গাড়ি চালক মো. জাকির হোসেন আহত হন।
পরদিন শনিবার ডিবির সাব ইন্সপেক্টর মো. রফিক বাদী হয়ে ১৭ জনকে এজাহারনামীয় ও আরও ৪০-৪৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সিরাজদিখান থানায় মামলা দায়ের করেন।
মুন্সিগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ওসি ইশতিয়াক আশফাক মামলার তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কথা বলতে রাজি হননি।
মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলতে চাননি।
