মুন্সিগঞ্জ, ৮ অক্টোবর, ২০২২, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে বালুদস্যুদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করতে গিয়ে পুলিশের বাঁধায় তা করা যায়নি বলে অভিযোগ মানববন্ধন আয়োজনকারীদের। তবে পুলিশ বলছে, দুইটি পক্ষ মুখোমুখি হলে পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা থেকে দুই পক্ষকেই সরিয়ে দিয়েছে।
লৌহজংয়ের তেউটিয়া ইউনিয়নে নদী ভাঙা প্রতিরোধের জন্য অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবীতে লৌহজং তেউটিয়া ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টা’র দিকে লৌহজং উপজেলার ঘোড়দৌড় বাজার সংলগ্ন উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
এসময় মানববন্ধনকারীরা সেখানে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে শতাধিক লোকজন নিয়ে মানববন্ধনকারীদের মুখোমুখি হন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শেখ আবু নাসের রতন। তিনি এই স্থান বাদ দিয়ে অন্যত্র গিয়ে মানববন্ধন করার কথা বলেন। এসময় দুইটি পক্ষ মুখোমুখি হলে তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়৷
লৌহজং তেউটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের জানান, ‘বাধা দেব কেন? আমারও তো রিসোর্ট ছিল, পদ্মা নদীর গর্ভে চলে গেছে। আসলে এখানে বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা অনয় হাসান বেপারী বিএনপির অর্থায়নে লোকজন জড়ো করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছিল।’
মানববন্ধনের আয়োজক উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনয় হাসান বেপারী জানান, আমরা এলাকাবাসীর পক্ষে বালুদস্যুদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করতে চেয়েছিলাম। গতকাল নির্ধারিত তারিখ ছিলো। পুলিশের অনুরোধে তারিখ পরিবর্তন করে আজকে নির্ধারণ করা হয়। সকাল ১০ টা’র দিকে ৪-৫’শ লোক নিয়ে মানববন্ধনের জন্য পূর্ব নির্ধারিত জায়গায় গেলে পুলিশ এসে আমাদের মানববন্ধন পন্ড করে দেয়।
তিনি বলেন, আমাদের মানববন্ধন ছিলো পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে যারা বালু উত্তোলন করে সেসব বালদস্যুদের বিরুদ্ধে৷ কিন্তু একটি প্রভাবশালী মহল যারা এই পদ্মা নদীতে অবৈধ বালু কাটার সাথে জড়িত এবং যারা এই বালুর টাকার ভাগ পায় তাদের কারনে মানববন্ধনটি করা যায়নি।
লৌহজং থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, মানববন্ধন করার জন্য পূর্ব অনুমতি ছিলো না। তারা মানববন্ধন করতে আসলে স্থানীয় আরেকটি পক্ষের সাথে হট্টগোল হলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।