মুন্সিগঞ্জ, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার বজ্রযোগীনি জে.কে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলামের বেত্রাঘাতে শাহরিয়ার নামের এক ছাত্র গুরুত্বর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার দুপুরের এ ঘটনায় মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বর্তমানে ঐ ছাত্র বাড়িতে শয্যাশায়ী।
আহত অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র শাহরিয়ার স্থানীয় নাহাপাড়া গ্রামের মোঃ মান্নান কাজীর পুত্র।
ভুক্তভোগীসহ স্থানীয়দের অভিযোগ এই প্রধান শিক্ষকের আচরনে ক্ষুব্ধ সহকারী শিক্ষক সহ অভিভাবকরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শনিবার সকালে বিদ্যালয়ের মাঠে অ্যাসেম্বলি শেষে সহপাঠীদের সাথে শ্রেণী কক্ষে ফিরছিলো ভুক্তভোগী ছাত্র শাহরিয়ার। এসময় বিদ্যালয়ের সিঁড়ি দিয়ে উঠতে দেরি হওয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের পেছন থেকে বেত দিয়ে আঘাত করে প্রধান শিক্ষক।
বেত্রাঘাতে পূর্বে দুর্ঘটনায় আহত থাকা শাহরিয়ারের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরে। ঘটনার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী ছাত্রের মা খাদিজা বেগম জানান, শনিবার সকালে শাহরিয়ারের স্কুল থেকে খবর আসে তাকে সদর হাসপাতাল নেওয়া হচ্ছে, আমার স্কুলে ছুটি গিয়ে জানতে পারি প্রধান শিক্ষক তাকে বেত দিয়ে পিটিয়েছে। এর আগেও সে থাপ্পড় দিয়ে কানের পর্দা ফাটিয়েছিলো। আমরা এর বিচার চাই।
প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম বেত্রাঘাতের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সিড়ি দিয়ে না উঠে ওরা শিড়ির সামনে দাড়িয়ে ছিলো, অনেক ছেলে মেয়ে ক্লাসে ফিরছিলো। কোন ছাত্রীর গায়ে লাগতে পারে ভেবে উদ্ভত পরিস্থতিতে অভিবাবক হিসাবে শাসন করেছি। তবে ও অসুস্থ জানলে বেত্রঘাতটি করতাম না। তাৎক্ষনিক ভাবে সহকারী শিক্ষকের মাধ্যমে তাকে হাসপাতালে প্রেরণ ও ঔষধ কিনে দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে অনুসন্ধানকালে প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বকাঝকা, অসাদাচারন,মারধর সহ ব্যাপক অভিযোগ করেন অভিভাবকরা।
তারা জানান, প্রধান শিক্ষকের বকাবকি সহ খারাপ আচরণের কারণে ঐতিহ্যবাহী এই স্কুলটি থেকে মুখ ফিরে নিচ্ছে অনেকে। কোন বিষয়ে স্কুলে গেলে তাদের তুচ্ছতাছিল্য সহ অপদস্ত করেন এই প্রধান শিক্ষক।
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফারুক আহমেদ জানান, আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। শিক্ষার্থীদের মারধর করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ, বজ্রযোগীনিতে স্কুলে মারধর বিষয়টি খোজ নিয়ে এঘটনার তদন্ত করা হবে, প্রধান শিক্ষক দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরোদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।