মুন্সিগঞ্জ, ৮ অক্টোবর ২০২৩, আরাফাত রায়হান সাকিব (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় পদ্মার আকস্মিক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কবলে উপজেলার বড় নওপাড়া এলাকায় একটি ভবন, দুইটি বসত ঘরসহ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে কয়েকশত মিটার অংশ।
গেল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া ভাঙন থেমে থেমে এখনো অব্যাহত রয়েছে। ঝুঁকিতে পরেছে আরো বেশ কিছু পাঁকা ভবনসহ স্থাপনা।
ভাঙন থেকে বাঁচতে এখন পর্যন্ত ১৫টি বসতঘ -জিনিসপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে এসব ঘরের বাসিন্দারা। টানা বৃষ্টিপাত ও নদীতে রাতভর অবৈধ ড্রেজিংয়ের কারনেই হঠাৎ এমন ভাঙন বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা।
এদিকে ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের পর লৌহজং-তেউটিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে নদীতীরে হঠাৎ ভাঙন দেখা দেয়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে স্থানীয়দের মাঝে। ক্রমশ ভাঙনে নদীপাড়ে থাকা কয়েকশ মিটার তীর ভেঙে পড়ে, এতে স্থানীয় জিতেন রাজবংশীর পাঁকা ভবন ও টিনকাঠের ঘর, সুধন রাজবংশীর একটি ঘর নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এছাড়া স্বপন রাজবংশীর পাঁকা ঘর আংশিক ভেঙে পড়েছে। ভাঙন অব্যাহত থাকলে যেকোন সময় ভেঙে পড়বে পুরো ভবনটি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, পদ্মা নদীতে রাতভর অবৈধ বালু উত্তোলন করে বালুখেঁকোরা। এসব বালু শতশত বাল্কহেড দিয়ে পাচার করা হয় রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায়। নদীতে অবৈধ ড্রেজিং বাল্কহেড চলার কারনে তীব্র ঢেউয়ের প্রভাবে নদী ভাঙনে অন্যতম কারন।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন জানান, ওই এলাকায় তীর রক্ষায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছিলো আগে থেকে। ভাঙন দেখা দেওয়ায় অধিক জিও ব্যাগ ফেলে তা প্রতিরোধ করা হচ্ছে। একই সাথে ওই এলাকা সংলগ্ন নদীতে যেনো বাল্কহেড বা নৌযান আপাতত না চলে সে জন্য নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বলেন, ভাঙ্গনের খবর পেয়ে সাথে সাথেই এলাকা পরিদর্শন করেছি। এখন পর্যন্ত দেড়শো মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বলে পরিমাপ করা হয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে ২ হাজার বস্তা জিও ব্যাগ ফেলেছি এলাকাটিতে। যতক্ষণ না পর্যন্ত ভাঙ্গন প্রতিরোধ হয় জিও ব্যাগ ফেলা হবে। আশা করছি দ্রুতই অবস্থার উত্তরণ ঘটবে।