মুন্সিগঞ্জ, ২১ মে, ২০২১, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের দুইটি উপজেলায় দুই দিনের ব্যবধানে পানিতে ডুবে মারা গেছে ৫ জন।
মুন্সিগঞ্জের লৌহজং ও গজারিয়ায় দুই দিনে পৃথক ভাবে পানিতে ডুবে দুই শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১৯ মে) লৌহজংয়ের পদ্মায় গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া শিশু মরিয়ম (৭) এর মরদেহ ১৮ ঘন্টা পরে উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কলমা এলাকার পদ্মা নদীর ভরাকল নামক স্থান থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার কৃত মরদেহ শিশু মরিয়ম একই উপজেলার পশ্চিম নোয়পাড়া গ্রামের মিনার হোসেনের কন্যা।
এর আগে বুধবার (১৯ মে) শিশু মরিয়ম আত্মীয়র বাড়ী কলমায় বেড়াতে এসে বিকালে শিশুটিসহ ৪ জন পদ্মায় অল্প পানি মনে করে গোসল করতে নামে পরে ৩ জন কোনো মতে তীরে উঠতে পারলেও পানিতে ডুবে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশু মরিয়ম। পরে শিশুটিকে বাচাতে আব্দুল কাদের নামের একযুবক পদ্মা নদীতে ঝাপিয়ে পরলে সেও নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় আব্দুল কাদেরের মরদেহ উদ্ধার হলেও নিখোঁজ থাকে শিশু মরিয়াম।
দীর্ঘ ১৮ ঘন্টা খোজাখুজি করে ফায়ার সার্ভিসের ও নৌপুলিশের ডুবরী দলের সহায়তায় বৃহস্পতিবার নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া একই দিন উপজেলার বাঘের বাড়ী নামক স্থানে পদ্মার শাখা নদীতে গোসলে করতে নেমে ৫ যুবক নিখোঁজ হয় পরে ৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করলেও উপজেলার মশদগাও গ্রামের সেবুন বেপারীর ছেলে মাহিম বেপারী (১৫) ও টিপু খন্দকারের ছেলে সীমান্ত (১৬) এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে নৌ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম কবির বলেন, বুধবার (১৯ মে) পৃথকভাবে পানিতে নিখোজ হওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যার মধ্যে বুধবার ৩ জন ও বৃহস্পতিবার নিখোঁজ হওয়া শিশু মরিয়মের মরদেহ উদ্ধার করে তার পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি গ্রামের মেঘনা নদীতে মায়ের সাথে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয় শিশু অয়ন (৫)। পরে দীর্ঘক্ষন খোঁজাখুজি করে বিকাল ৩ টার দিকে শিশুটিকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।