১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সোমবার | সকাল ১১:১৪
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
মুন্সিগঞ্জে চাচাতো ভাইকে খুন করে কচুরিপানায় লাশ গুম
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১১ আগস্ট, ২০২১, সদর প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় ঘরে আসতে নিষেধ করায় মো. যুবায়ের হোসেন (৭) নামের শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পুকুরের কচুরি পানায় লুকিয়ে রাখে তার আপন চাচাত ভাই।

গত সোমবার রাতে উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে ইউনিয়নের মধ্য মাকহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে ইউনিয়নের মধ্য মাকহাটি এলাকার মাঝিবাড়ি থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এঘটনায় মঙ্গলবার সকালে নিহত যুবায়েরের চাচাত ভাই ঈমন মাঝিকে (২২) আটক করা হয়। দুপুরে যুবায়েরর বাবা মাইনউদ্দিন মাঝি বাদি হয়ে তাঁর ভাতিজা ঈমন মাঝির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে।

নিহতের বাবা মাইনউদ্দিন বলেন, সোমবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে যুবায়ের ইসলাম প্রাইভেট পড়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। রাত ৯ টার দিকে বাড়ি না ফিরলে আমরা ওর শিক্ষকের কাছে খোঁজ নিতে যাই। যুবায়ের পড়তে আসেনি বলে জানায় তার শিক্ষক। পরে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুজি করি। রাতে বাড়ির পাশের পুকুরের কচুরির নিচে যুবায়েরকে দেখি।

স্থানীয়রা জানান প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় যুবায়েরকে ঈমন ডেকে নিয়ে যায়। রাত ১০টা দিকে বাড়ির পাশের পুকুরের ডোবায় কচুরিপানার নিচ থেকে গলায় পাটের রশি পেচানো মৃত অবস্থায় যুবায়েরকে পাওয়া যায়। ৯৯৯ ফোন করে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ নিহতের চাচাতো ভাই ঈমনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশ ঈমন ঈমন মাঝির বরাত দিয়ে জানায়, ঈমন যুবায়েরদের ঘরে টিভি দেখতে যেতো। যুবায়েরের মাও ঈমনকে আদর করতো। তবে বিষয়টি স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারতো না যুবায়ের। তার আদরের ভাগ কাউকে দিতে চাইতো না। যুবায়ের ঈমনকে তাদের ঘরে যেতে নিষেধ করতো। এটা নিয়ে ঈমনের মনে খুব জন্ম নেয়। পরবর্তীতে সে যুবায়েরকে হত্যা করে কচুরিপানার ভেতর লুকিয়ে রাখে।

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাজিব খান জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১ টার দিকে আমরা খবর পাই। রাত সাড়ে ১২ টার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠাই।পরবর্তীতে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার সন্ধহে কয়েকজনকে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সে সময় নিহত জুবায়ের চাচাতো ভাই ঈমন মাঝিকে সন্দেহ হলে আমরা থানায় নিয়ে আসি। পরবর্তীতে সে হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে নিহতের বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ঈমন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। ঈমনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

error: দুঃখিত!