মুন্সিগঞ্জ, ২১ জানুয়ারি ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ ২ আসনে ট্রাক প্রতীকের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহানা তাহমিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে বিজয়ী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলির সমর্থক টংগিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির হাফিজ আল আসাদ বারেকের বিরুদ্ধে দশ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের হয়েছে।
আজ রোববার সকালে সোহানা তাহমিনা নিজে বাদী হয়ে মুন্সিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪নং আমলী আদালতে মানহানি ও ভয়ভীতির অভিযোগে মামলার আরজি দাখিল করেন।
ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী বুলবুল আহমেদ জানান, বিকালে মামলার আবেদনটি আমলে নিয়ে বিচারক মানিক দাস তদন্তের জন্য সিআইডিতে পাঠিয়েছেন। অভিযুক্ত হাফিজ আল আসাদ বারেক টংগিবাড়ী উপজেলার আউটশাহী গ্রামের মৃত হাসেম শেখের ছেলে।
সোহানা তাহমিনা মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের সহধর্মিণী ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
মামলার আরজিতে বলা হয়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জ-২ (টংগিবাড়ী-লৌহজং) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন সোহানা তাহমিনা। ভোটের আগে গত ২৮ ডিসেম্বর টংগিবাড়ী উপজেলার মান্দ্রা এলাকায় এক নির্বাচনী সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজ আল আসাদ জনসম্মুখে সোহানা তাহমিনার বৈবাহিক জীবন নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ বক্তব্য দেন। যা পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এতে সোহানা তাহমিনার সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন ও মানহাটি ঘটে। ফলে তিনি মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন।
মামলা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সদ্য বিগত জাতীয় নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জ ২ আসনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহানা তাহমিনা বলেন, আমি একজন নারী প্রার্থী ছিলাম। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করে কুরুচিপূর্ন অশ্লীল বক্তব্য দিয়েছে সে। ফেসবুকে তা ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি নারী হিসাবে আমার জন্য কষ্টদায়ক। আমি এর যথাযোগ্য বিচার চাই।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলেও আওয়ামী লীগ নেতা হাফিজ আল আসাদ বারেকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।