১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সোমবার | রাত ৮:৩১
মুন্সিগঞ্জে অাইসিটি মামলায় সাংবাদিক অাটক, প্রতিবাদে মানববন্ধন
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জে সাংবাদিক ও নাট্যকর্মী শেখ মোহাম্মদ রতনের মুক্তি ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইসিটি মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

মুন্সিগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির উদ্যোগে শনিবার বেলা ২ টার দিকে শহরের মুক্তিযুক্ত ভাষ্কর্যের ‘অঙ্কুরিত ৭১’-এর সামেন এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুন্সিগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শহীদ-ই-হাসান তুহিন, সাংবাদিক রতনের স্ত্রী খালেদা আক্তার নীলা ও তার দুই শিশু সন্তান, সাংবাদিক মাহাবুবুল আলম বাবু, গোলজার হোসেন, জুয়ল রানা প্রমুখ।

তথ্য ও যোগাযাগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের একটি মামলার প্রেক্ষিতে সাংবাদিক শেখ মোহাম্মদ রতন বর্তমানে জেল হজেতে রয়েছেন।

গত বুধবার তাকে শহরের নিজস্ব পত্রিকার কার্যালয় থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরদিন তাকে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠায়।

ফেইসবুকে প্রকাশিত একটি সংবােদ লাইক দেয়ার কারণে রতনকে একটি আইসিটির মামলার আসামী করা হয়।

শেখ মোহাম্মদ রতন বাংলাদেশ সময় ও মাইটিভির জেলা প্রতিনিধি এবং মুন্সিগঞ্জ প্রসক্লাবের কার্যকরী সদস্য ও সমকালীন মুন্সিগঞ্জ ডটকম নামক একটি অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক। এছাড়াও রতন মুন্সিগঞ্জ থিয়টারের নাট্যকর্মী।

জানা গেছে, এলএলবি(অনার্স) সার্টিফিকেট জালিয়াতির অভিযোগে শিক্ষানবিশ আইনজীবী মীর নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদের প্রেক্ষিতে গত ৩ই ফেব্রুয়রি মীর নাসির উদ্দিন তথ্য প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করন।

মামলায় মুন্সিগঞ্জ নিউজ ডটকম নামল অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম কে প্রধান আসামী করে ৭জন সংবাদকর্মীকে আসামী করা হয়।

ওই সংবাদ ফেইসবুকে ছড়িয়ে গেলে অন্যান্যদের মত সাংবাদিক শেখ মোহাম্মদ রতন লাইক দেয় লাইক দেয়ার কারণে তাকেও আসামী করা হয়।

উল্লেখ্য, মীর নাসির উদ্দিন দুটি এলএলবি (অনার্স) এর সার্টিফিকেট একই সাল(২০১২) দুটি বিশ্ববিদ্যালয় (দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় ও অতীশ দিপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে অর্জন করেন।

অ্যাডভোকটশীপ পরীক্ষার জন্য বার কাউন্সিল ২০১৩ সাল রেজিস্ট্রশন করেন, যার রেজি. নং ২৩৪৮/২০১২।

এদিকে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত এলএলবি (অনার্স) শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা সার্টিফিকেট বাতিল করে বার কাউন্সিল। পরে মীর নাসির উদ্দিন অতীশ দিপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই সালে এলএলবি (অনার্স) এর সার্টিফিকট দিেয় বার কাউন্সিলে ২০১৪ সালে আবার রেজিষ্ট্রশন করেন, যার নম্বর ১০৫৩/ ২০১৪।

এটা জালিয়াতির মাধ্যমে হয়েছে বলে অভিযোগ করে মুন্সিগঞ্জ ডটকম সহ কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এই নিউজ ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষিপ্ত হয়ে মীর নাসির মামলা করেন।

error: দুঃখিত!