মুন্সিগঞ্জ, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার বালিগাওঁ বাজার হতে অপহরণের পর ৭ মাস কেটে গেলেও কলেজ ছাত্রী শান্তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
শান্তার বাবা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম মেয়েকে উদ্ধারের জন্য ৭ মাস যাবৎ দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ালেও মেয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছেননা। শান্তার বাবা উদ্বিগ্ন মেয়ের বেচেঁ থাকা নিয়ে ।
সে দির্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, ওড়া আমার মেয়েকে হয়তো এতোদিনে মেরে ফেলেছে নয়তো বিদেশে পাচার করে দিয়েছে।
ওই যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আরো জানান, অপহরণকারীরা আমার নিকট আত্মীয়। কয়েকবার ওরা শান্তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলো। কিন্তু যার সাথে বিয়ের প্রস্তাব দেয় সে ভবঘুরে কোন কাজকর্ম করেনা। এজন্য আমি রাজি হয়নি। পরে ওরা আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আমি মামলা দায়ের করলে পুলিশ একজন আসামীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
কিন্তু প্রধান আসামীসহ অন্যান্য আসামীদের কাছ থেকে পুলিশ টাকা খেয়েছে। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। এর আগে মামলার ৩নং এজাহারভূক্ত আসামী আমিন উদ্দিন হালদারকে শ্রীনগর থানা পুলিশ গ্রেফতার করলেও তাকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি।
সে আরো বলেন, এজন্যই কি দেশ স্বাধিন করেছিলাম। যুদ্ধে গিয়ে আহত হয়েছি এখন স্বাধিন দেশে মেয়ের বিচার পাচিছনা। আমি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এর আগে গত ১৮ই মে ২০১৯ ইং তারিখে শান্তা তার নিজ বাড়ি উপজেলার চাষি বালিগাওঁ গ্রাম হতে তার ফুফু শাহানা বেগর এর সাথে পাশের বালিগাঁও বাজারে ডাক্তার দেখানোর জন্য যাচ্ছিলো। ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার পথে বাজারের পূর্ব পাশে পৌছাঁলে শান্তাদের নিকট আত্মীয় পাশের শ্রীনগর উপজেলার বিবন্দি গ্রামের খবির হালদার, সাব্বির হালদার, আমিন হালদার গংরা শান্তাকে জোর করে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
পরে শান্তার বাবা সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে টংগিবাড়ী থানায় গত ১৮ই জুন মামলা দায়ের করেন।
অপহরণের ৭ মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও শান্তাকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। শান্তা ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার সাভার বেজপা হাইস্কুল এন্ড কলেজের ইন্টার ২য় বর্ষের ছাত্রী। সে পিতা মাতার সাথে ঢাকার জেলার সাভার উপজেলার গাজিরচট এলাকায় বসবাস করেতো। কলেজ ছুটিতে গ্রামের বাড়ি টংগিবাড়ী উপজেলার চাষী বালিগাওঁ গ্রামে বেড়াতে আসলে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় উপরোক্তরা।
এ ব্যাপারে টংগিবাড়ী থানা ওসি শাহ মো. আওলাদ হোসেন জানান, বাদী আমাদের আসামী ধরতে কোন সহযোগীতা করছেনা। তার পরেও আমরা এক আসামীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করছি বাকি আসামীদের গ্রেফতার ও ভিকটিমকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।