মুন্সিগঞ্জ, ২৬ এপ্রিল, ২০২০, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক বাণিজ্য ও তথ্যমন্ত্রী এম. শামসুল ইসলামের ২ম মৃত্যু বার্ষিকী আজ রবিবার।
এ উপলক্ষ্যে আগামী সোমবার মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার তার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত বছিরুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ে দিনব্যাপি কোরআনখানি, মিলাদ মাহফিল ও ত্রাণ বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে।
শামসুল ইসলামের বড় ছেলে সাইফুল ইসলাম জানান, করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হবে। এছাড়া পারিবারিকভাবে দোয়া ও কোরআন খানির আযোজন করা হয়েছে।
তিনি আত্মীয় স্বজন, গুণগ্রাহী নেতাকর্মীদের তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করার জন্য অনুরোধ করেন।
এম শামসুল ইসলামের জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৩২ সালে ব্রিটিশ ভারতের পূর্ব বাংলার মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর থানার সুখবাসপুরে। তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বাধীন তৎকালীন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের (এনডিএফ) ঢাকা জেলা শাখার সাধারণ স¤পাদক এবং ওই ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য ছিলেন।
১৯৬৮ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান পরিবার পরিকল্পনা সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
বিভিন্ন মেয়াদে তিনি লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি, সম্পাদক ও ডেপুটি গভর্নরের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, বাংলাদেশ বক্ষব্যাধি সমিতি , বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি, লায়ন্স ফাউন্ডেশন, বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন ও মুন্সিগঞ্জ-বিক্রমপুর সমিতির আজীবন সদস্য ছিলেন।
তিনি বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এম শামসুল ইসলাম বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সর্বশেষে তিনি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।
বিভিন্ন সময়ে তথ্য, খাদ্য, ভূমি, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শামসুল ইসলাম। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
তিনি ৫ম থেকে ৮ম জাতীয় সংসদে মুন্সিগঞ্জ-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি মার্চ ১৯৯১ থেকে সেপ্টেম্বর ১৯৯১ পর্যন্ত ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী এবং সেপ্টেম্বর ১৯৯১ থেকে সেপ্টেম্বর ১৯৯৩ পর্যন্ত খাদ্য মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি বাণিজ্যমন্ত্রী এবং একই সঙ্গে তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১০ অক্টোবর ২০০১ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত সরকারের ভূমিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০০২ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এম শামসুল ইসলাম দুই ছেলে এম সাইফুল ইসলাম ও মোনাদির ইসলামকে রেখে গেছেন। তার স্ত্রী জুন ২০১৫ সালে মারা যান। বড় ছেলে সাইফুল ইসলাম বিএনপির থিংক ট্যাঙ্ক সংগঠন জি-নাইন এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।