মুন্সিগঞ্জ, ২৬ এপ্রিল, ২০২০, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক জেলা যুবলীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জামাল হোসেনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৬ এপ্রিল রবিবার।
তিনি গত বছরের এই দিনে ৬৪ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান।
তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে রবিবার পারিবারিকভাবে দোয়া এবং কোরআনখানি আয়োজন করা হয়েছে।
তাঁর জামাতা সাংবাদিক শাহাদাৎ পারভেজ ও পুত্র অ্যাডভোকেট নাহিদ হাসান শান্ত পরিবারের পক্ষে দিনটিতে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।
মুন্সিগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গণে জামাল হোসেন অতি পরিচিত একটি নাম। সাংগঠনিক সম্পাদক হলেও অনেক ক্ষেত্রে দলে কান্ডারী হিসাবে ভূমিকা রেখেছেন।
এমনও হয়েছে- জাতীয় দিবসে একা জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে পুস্পমাল্য অর্পণ করেছেন। প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নানা রকম পরিস্থিতি মোকাবেলায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে জাগ্রত করেতে বজ্রকণ্ঠ মো. জামাল হোসেনের জুড়ি ছিলো না।
তিনি রাজনীতির বাইরেও শিল্প-সাহিত্য, সংস্কতি, ক্রীড়াসহ নানা সৃজনশীল কাজে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন।
মো. জামাল হোসেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করছিলেন যোগ্যতার সাথে। এছাড়াও তিনি ‘৭১ এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির মুন্সিগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি ছিলেন।
এর বাইরে রেড ক্রিসেন্ট, জেলা শিল্পকলা একাডোমি, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, মুন্সিগঞ্জ বয়েজ ক্লাব, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা, মুন্সিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও চম্পাতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড বেগবান রাখার ক্ষেত্রে তার পৃষ্ঠপোষকতা স্মরণ রাখার মত। এর বাইরেও নানা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে তাঁর সম্পৃক্ততা ছিল।
মুন্সিগঞ্জের সকল কর্মকান্ডে যে মানুষটির ভূমিকা জ্বল জ্বল করছিল, তিনি আকস্মিক চলে গেলেন না ফেরার দেশে। কিন্তু তার সেই অবদানের কথা আমারা ক’জন মনে রেখেছি? এই প্রশ্ন রেখে একজন সুশিল সমাজের প্রতিনিধি বলেছেন- ‘আমরা যাঁরা ভুলে গেলাম, চলে যাওয়ার পর আমাদের কথা মনে রাখবে কে?’