২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার | সকাল ১০:৫২
মুন্সিগঞ্জের ফুলতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্বাচনে চাপের মুখে প্রার্থীতা প্রত্যাহার
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১২ মার্চ, ২০২০, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মুন্সিগঞ্জের চরাঞ্চলের ফুলতলা মোহাম্মদীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের চাপ প্রয়োগ করে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আগামী ২১ মার্চ ভোট গ্রহনের কথা ছিলো বিদ্যালয়টিতে। এতে দুটি গ্রুপের ২২ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন।

মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে বুধবার চাপের মুখে একটি প্যানেলের সবাই এক সাথে তাদের মননোয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছে।

প্রত্যাহারকারীদের অভিযোগ, প্রতিপক্ষের চাপের মুখে তারা তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। নিবার্চনকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ে দুই ভাগে আলাদা আলাদা দুটি প্যানেল নিবার্চনের লক্ষে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন।

মননোয়ন পত্র দাখিলের পর থেকে বর্তমান কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট শ,ম হাবিবুর রহমান প্যানেলের সকল প্রার্থীরা প্রচন্ড চাপের মধ্যে পরে যায়। তাদের কে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিতে বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করে হাজ্বী মো: জসিম উদ্দিন গংদের প্যানেল।

একপক্ষ চাপের মুখে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করার ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় জসিম গংরা বিজয়ের পথে।

জেলা রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহনের জন্য ২২ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। এদের মধ্যে ৩ জন শিক্ষক আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় জয় লাভ করে। বাকী ১৯ টি পদের প্রার্থীদের মধ্যে ১৩ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।

বর্তমান কমিটির সভাপতি এ্যাড শ ম হাবিবুর রহমান বলেন, আরো ২ বছর আগে থেকেই প্রতিপক্ষরা বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকে আমাকে সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য। আমি এবার নির্বাচনে অংশ না নিয়ে এলাকার শিক্ষত লোকদের নিয়ে একটি প্যানেল জমা দেই। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই আমার প্যানেলের প্রার্থীদের প্রতিপক্ষরা প্রান নাশের হুমকি দিতে থাকে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন বাধ্য হয়ে জীবন বাঁচাতে আমার প্যানেলের প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে প্রতিপক্ষ প্রার্থী মো: জসিম উদ্দিন গংদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসার মো: ইসমাইল বলেন, নির্বাচনে দু”পক্ষের ২২ জন প্রার্থী বিভিন্ন পদে মনোনয়ন জমা দেন। প্রত্যাহারের শেষ দিনে ১৩ জন প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় একটি প্যানেল বিজয় লাভ করে।

error: দুঃখিত!