মুন্সিগঞ্জের ডায়াগনোষ্টিক-ক্লিনিক নিয়ন্ত্রণে মরিয়া হয়ে উঠেছেন রেনেসা ক্লিনিকের মাধ্যমে এই ব্যবসায় নামা আক্কাস আলী।
এর আগে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে একজন সাধারণ ঔষুধ কোম্পানির রিপ্রেজিন্টিভ কে হত্যার হুমকি দিয়ে থানা-পুলিশ হলেও অদৃশ্য ক্ষমতার জোরে পার পেয়ে যান আক্কাস।
এবার বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোষ্টিক ওনার’স এসোসিয়েশন, মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখা নামে একটি সংগঠন খুলে এখন নিজেই সেই সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছেন। সকল সিদ্ধান্তও নেন একাই।
চলতি বছরের ২৪ মার্চ তারিখে বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোষ্টিক ওনার’স এসোসিয়েশন, মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখা’র সাধারণ সম্পাদক পরিচয়ে স্বাক্ষরিত একটি তথাকথিত ‘আদেশনামা’ আমার বিক্রমপুর এর হাতে আসে। সেখানে দেখা যায় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক পরিচয়ে আক্কাস একাই সেখানে স্বাক্ষর করেছেন। স্বাক্ষরের সাথে তারিখ থাকলেও চিঠিটির নির্দিষ্ট তারিখ লেখার ঘড়ে কোন তারিখ নেই।
সেই কাগজের চার নম্বর লাইনে সংগঠনটির সভাপতি এবং ঐদিনের সভার সভাপতি হিসেবে আয়নাল হক স্বপন নামে একজন ব্যাক্তির নাম রয়েছে। অথচ আমার বিক্রমপুর অনুসন্ধানে নামলে আয়নাল হক স্বপন দাবি করেন তিনি বিশ্রামে আছেন। তার দায়িত্ব পালন করছেন নজরুল ইসলাম নামের আরেক ক্লিনিকের মালিক।
এরপর আয়নাল হক স্বপনের কথা অনুযায়ী নজরুল ইসলামের বক্তব্য জানতে তার সাথে কথা বলে আমার বিক্রমপুর। তিনি এই প্রতিবেদকের বক্তব্য শুনে প্রথমেই চমকে যান। তিনি জানান, ‘আমি নিজেও জানি না আমি সভাপতি হলাম কবে’
২৪ মার্চের সেই তথাকথিত ‘আদেশনামা’র বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাদের সিদ্ধান্ত তারাই নেয়’
তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ক্লিনিক কতৃপক্ষের অভিযোগেরও শেষ নেই। আক্কাসের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে ‘আমার বিক্রমপুর’ কিছুদিন আগেও একটি সংবাদ প্রকাশ করে।
স্থানীয় ফেমাস ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেন বলেন, এভাবে ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা কারো নেই। থাকলে সেটা সিভিল সার্জনেরই আছে।’
এসব বিষয়ে অভিযুক্ত ক্লিনিক ব্যবসায়ী আক্কাস আলীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।