১৯শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার | রাত ২:২২
মানুষের রমজান বাজার শেষ হওয়ার একদিন পর তদারকিতে গেল মুন্সিগঞ্জ ভোক্তা অধিকার
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২ মার্চ ২০২৫, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

মানুষের রমজান বাজার শেষ হওয়ার একদিন পর বাজার তদারকিতে নেমেছে মুন্সিগঞ্জের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ফলে, তাদের ‘লোকদেখানো’ কার্যক্রম নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে মানুষের মাঝে।

সারাদেশে পবিত্র মাহে রমজান শুরু হয়েছে গতকাল (১ মার্চ) সন্ধ্যার পর থেকে। এদিন দিবাগত মধ্যরাতে সেহরীর মধ্য দিয়ে রমজান পালন শুরু করেছেন মুসলিম ধর্মাবলম্বী নাগরিকরা। তাই সকলেই ‘অনিয়ন্ত্রিত দামে’ রমজানের বাজার করা শেষ করেছেন গতকাল বিকালের আগেই।

মুন্সিগঞ্জ শহরের কেন্দ্রীয় বাজারসহ জেলার সবকয়টি হাটবাজারগুলোতে এবার রমজানের আগে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ পাওয়া গেছে সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে। প্রতিটি বাজারেই বোতলের গায়ের মূল্য থেকেও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে তেল। অথচ রমজান শুরুর আগে গত কয়েকদিন এ বিষয়ে কোন ভূমিকা দেখা যায়নি ভোক্তা অধিকারের।

অথচ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে রমজানে বাজার পরিস্থিতি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাতের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা হয়েছে।

সেখানে উপস্থিত বক্তারা বাজার নিয়ন্ত্রণে দফায় দফায় প্রস্তাব তুলে ধরেছেন। ওই সভায় উপস্থিত থাকা ভোক্তা অধিকারের জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক আসিফ আল আজাদকে বাজার নিয়ন্ত্রণে নির্দেশনাও দেন জেলা প্রশাসক।

কিন্তু বাস্তবে এই সভা-সেমিনারের কোন ছাপ পড়েনি মুন্সিগঞ্জের বাজারগুলোতে।

সবার যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনা শেষ হয়েছে এরপরে আজ সোমবার বিকালে শহর বাজার এলাকায় অভিযানে গেছে ভোক্তা অধিকার।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছে, ‘শহর বাজারের বিভিন্ন মুদি দোকানে মনিটরিং কালে দেখা যায় যে, বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ খুব কম। ব্যবসায়ীগণ জানান যে, কোম্পানিগুলো বাজারে সয়াবিন তেল সরবরাহ করছেনা। ক্রেতাদের চাহিদার জন্য কিছু ব্যবসায়ী নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জ বাজার থেকে সয়াবিন তেল কিনে আনছেন। ব্যবসায়ীদেরকে এম আর পি মূল্যে বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি করার নির্দেশনা দেয়া হয়।’

আরও বলা হয় ‘এরপর ভোক্তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শহর বাজার সংলগ্ন দুধ বাজারে মনিটরিং করা হয়। পবিত্র রমজান মাসে গরুর দুধের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় দুধের দাম লিটার প্রতি ত্রিশ থেকে চল্লিশ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করার প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়া কোন দোকানদার মূল্য তালিকা প্রদর্শন করছেন না। এসময় সদর উপজেলার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. জামাল উদ্দিন মোল্লা ল্যাক্টোমিটার দিয়ে দুধের ঘনত্ব পরিমাপ করেন।’

‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ লংঘন করায় চার জন দুধ বিক্রেতাকে মোট চার হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।’

error: দুঃখিত!