২৩শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার | দুপুর ২:৫০
‘মাদকের আসামীদের পুলিশ এক দিক দিয়ে ধরে এক দিয়ে ছাড়ে’-মৃণাল কান্তি দাস
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, বিশেষ প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)

‘আমার অবজারভেশন এসপিরা যদি সোচ্চার থাকে লাভ কি! এসপির নিচের গুলি যদি সোচ্চার না থাকে! আমার নিজের দেখা একদিক দিয়ে ধরে আরেক দিক দিয়া ছাড়ে। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় পকেটে নাই কিচ্ছু পকেটে ঢুকায়া দিয়া কয় তর পকেটে ইয়াবা পাইলাম, তরে ধরলাম। মানুষ নানাবিধ সামাজিক শত্রুতা উদ্ধার করছে।’-রবিবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভির নিয়মিত টকশো ‘মিট দ্যা লিডার’ এ অংশ নিয়ে প্রায় ৩০ মিনিটের আলোচনায় এসব কথা বলেছেন মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস।

তিনি এসময় আরও বলেন, ‘পুলিশের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, বিশেষ করে র‌্যাব এবং পুলিশ আপনারা নির্মোহ চিত্তে, নির্লোভভাবে, নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেন। দেশরত্ম শেখ হাসিনা আমাদের দেশটিকে মাদকমুক্ত করতে চান, সন্ত্রাসমুক্ত করতে চান, জঙ্গীবাদ মুক্ত করতে চান, বিশুদ্ধ একটা দেশ গঠন করতে চান কিছু কিছু জায়গা থেকে অর্থের লোভটা আপনারা পরিত্যাগ করুন।’

এক প্রশ্নের জবাবে ধলেশ্বরীর দূষণ ও দখলের বিষয়ে মৃণাল কান্তি দাস বলেন, ‘আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদকে আমরা ধ্বংস করছি। নদীর পানি কালো হয়ে আলকাতরার রং ধারন করেছে। শ্বাস নেয়া যায় না। মুখে রুমাল বেধে চলতে হয়। চোখ জ্বলে। অথচ আমরাই ওদের কাছ থেকে চাঁদা নেই। প্রশাসন নেয়, পুলিশ নেয়।’

তিনি বলেন, ‘শিল্প লাগবে না, রাজস্ব লাগবে না। এই উন্নয়ন চাই না। এই প্রবৃদ্ধির বৃদ্ধিও চাই না। আমি যদি না বাঁচি, আমার যদি অকালে কিডনীর রোগ হয়, লিভারের রোগ হয়, আমার যদি হার্টের রোগ হয়, আমার যদি মস্তিস্কের রোগ হয়, আমার যদি যক্ষ্মা রোগ হয়, আমার যদি ব্রংকাইটিস হয়। এই নদী দূষণ ও দখলের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছি, আমার লড়াই থামবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেখানে দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার হবে যদি সেই অত্যাচারি রাজনীতিক হয়, এমপি হয়, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়, যদি পৌরসভার মেয়র হয়, যদি উপজেলার চেয়ারম্যান হয়, সিটি কর্পোরেশনের মেয়রও হয় ওকে আগে দড়ি দিয়া বাধেন। কারন রাজনীতিকের কাজ জনসেবা করা, সৎ থাকা। যদি ওরা অসৎ হয় ওদেরকে আগে গ্রেফতার করতে হবে।’

error: দুঃখিত!