১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | দুপুর ২:২৭
Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
মাঝনদীতে বসলো পদ্মা সেতুর ৪০ তম স্প্যান
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ৪ ডিসেম্বর, ২০২০, প্রধান প্রতিবেদক (আমার বিক্রমপুর)

পদ্মার মাঝ নদীতে ১১ ও ১২ নম্বর পিয়ারের উপর বসানো হয়েছে পদ্মা সেতুর ৪০ তম স্প্যান। এরপরে পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হতে বাকি রইলো আর মাত্র ১ টি স্প্যান।

শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১০ টা ৫৮ মিনিটে পদ্মা সেতুতে ৪০ তম স্প্যান বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়। এতে করে দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতুর ৬ কিলোমিটার অংশ।

৩৯ তম স্প্যান বসানোর ৭ দিনের মাথায় বসানো হলো ৪০ তম স্প্যানটি। ছবি: আমার বিক্রমপুর।

৩৯তম স্প্যান বসানোর ৭ দিনের মাথায় বসানো হলো ৪০তম স্প্যানটি। ৬.১৫ কিলোমিটারের মূল সেতুতে মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে বাকি রইলো আর মাত্র ১ টি স্প্যান।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূলসেতু) দেওয়ান আব্দুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যানটি বহন করে ভাসমান ক্রেন তিয়াইন-ই নির্ধারিত পিয়ারে কাছে নিয়ে নোঙর করে রাখা হয়েছিলো। বাকি ছিলো শুধু স্প্যানটি উপরে তোলে বসানোর কাজ।

শুক্রবার সকাল ৯টা ২০মিনিটে স্প্যানটি উপরে তোলার কাজ শুরু হয়। এরপর ইঞ্চি মেপে নির্ধারিত পিয়ারের উপর ভূমিকম্প সহনশীল বিয়ারিং ধীরে ধীর বসানো হয়। পুরো কাজ শেষ করতে সময় লাগে ২ঘন্টার মত সময়।

৪০ তম স্প্যানটি বসে যাওয়ায় এখন ১২ ও ১৩ নম্বর পিয়ারে সর্বশেষ ৪১তম স্প্যান স্প্যান ‘২-এফ’ বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে প্রকৌশলীদের।

আগামী ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের মধ্যে বাকি থাকা স্প্যানটি বসানো হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে স্প্যান বাসানো ছাড়াও অন্যান্য কাজও এগিয়ে চলেছে। এরমধ্যে সেতুতে ১৮ শতাধিক রেলওয়ে ও ১২ শতাধিক রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হয়েছে।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হয় ৪০টি স্প্যান। এতে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর ৬ কিলোমিটার অংশ। ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। সব কটি পিয়ার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে।

মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু।

error: দুঃখিত!