আসল হিজরাদের হত্যা, নির্যাতন, মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ ও সন্ত্রাসী কচি হিজড়া, হিজড়ারূপী পুরুষ স্বপ্না ও সীমা হিজড়াদের দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে আপন হিজড়া সংঘ। একই সঙ্গে সরকারের প্রতি হিজড়ারূপী সন্ত্রাসীদের হাত থেকে প্রকৃত হিজড়াদের বাঁচানোর আহ্বানও জানানো হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে।
আজ শনিবারঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ছোট মিলনায়তনে এ আহ্বান জানায় সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সংগঠনের মহাসচিব আপন আক্তার হিজড়া।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের হিজড়া সম্প্রদায়কে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সমাজে ও সমাজের সংবাদ, গণমাধ্যম ও সাধারণ জগতের আড়ালে থাকার কারণে এখানে ঘটে যাওয়া নৃশংস অন্যায়ের বিচার হয় না। এই বিচারহীনতার কারণে একের পর এক অন্যায় চলতে থাকে।’
আপন হিজড়া বলেন, ‘কচি, স্বপ্না, সীমা, জোনোকী, মাকসুদা, মল্লিকা ও মিতুসহ কয়েকজন হিজড়ারূপী সন্ত্রাসী ২০০২ সাল থেকে উত্তরায় প্রকৃত হিজড়াদের ওপর হামলা ও নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। বেআইনি আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তারা এ পযন্ত ৩ তিনজনকে হত্যা ও ৭ জনের ওপর হত্যার চেষ্টা চালায়।অজ্ঞাত কারণে যথেষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তাদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না। ৯ ফেব্রুয়ারি উত্তরায় সেঁজুতি হিজড়া ও রিনা হিজড়ার উপর হামলা চালানোর ঘটনায় কচি হিজড়া, হিজড়ারূপী স্বপ্না ও সীমাসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে ৬ জনকে পরে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় বর্তমানে প্রকৃত হিজড়া সম্প্রদায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কচি হিজড়া, স্বপ্না ও সীমা গ্রুপ মানুষকে ধরে এনে কৃত্রিম উপায়ে হিজড়া বানিয়ে তাদের দিয়ে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন বেআইনি কার্যকলাপ করান। স্বপ্না নিজে একজন পুরুষ। তিনি এ পর্যন্ত দু’টি বিয়ে করেছেন। একাধিক সন্তানের পিতা সে। যখনই কেউ তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে তখনই তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।’
এ সময় তিনি ৩ দফা দাবি তুলে ধরে বলেন, ‘বর্তমানে গ্রেফতারকৃত খুনি আসামি কচি হিজড়া যেন কোনোক্রমেই জামিনে মুক্তি না হয়, পলাতক আসামি হিজড়ারূপী স্বপ্না ও জামিনপ্রাপ্ত সকল আসামিদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং নিরপরাধ প্রকৃত হিজড়াদের অবিলম্বে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য মাসুমা হিজড়া, রাখি হিজড়া, শ্রাবণ হিজড়া প্রমুখ।