একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না, এটি একান্তই তার নিজস্ব ব্যাপার সে বিষয়ে নিজামী নিজেই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী এস এম শাহজাহান।
বৃহস্পতিবার নিজামীর আপিলের রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা জানান তিনি।
তিনি জানান, রিভিউর রায়ের কপি প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যাবে না। রায়ের কপি পাওয়ার পর নিজেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ নিজামীর আপিলের রিভিউ খারিজ করে তার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল রাখেন।
বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
এর আগে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পাবনায় হত্যা, ধর্ষণ এবং বুদ্ধিজীবী গণহত্যার দায়ে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর নিজামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর বিরুদ্ধে নিজামী আপিল করলে গত ৮ ডিসেম্বর দুইপক্ষের শুনানি শেষ হয়। ওইদিনই রায় ঘোষণার জন্য ৬ জানুয়ারি দিন ঠিক করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
গত ৬ জানুয়ারি নিজামীর ফাঁসির আদেশ বহাল রেখে রায় দেয় সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ। নিজামীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ৪টি অভিযোগে দেওয়া ফাঁসির রায়ের ৩টি ও ৪টি অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া রায়ের মধ্যে ২টিকে বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
১৫ মার্চ আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। ১৬ মার্চ নিজামীকে কারাগারে মৃত্যুপরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়। ২৯ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ফাঁসির রায়ের রিভিউ (রায় পুর্নবিবেচনা আবেদন) আবেদন করেন তিনি।
রিভিউ শুনানির দ্রুত দিন ধার্য চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করেন। ১০ এপ্রিল আসামি পক্ষের সময় আবেদনের ভিত্তিতে পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের শুনানি পিছিয়ে ৩ মে ধার্য করে আদালত।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ নিজামীর আপিলের রিভিউ খারিজ করে চূড়ান্ত বিচারেও ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখেন।