মুন্সিগঞ্জ, ১ নভেম্বর, ২০২২, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জ-গজারিয়া রুটে ফেরি চলাচল আবারও শুরু হচ্ছে। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে এই রুটে পুনরায় ফেরি সার্ভিস চালু করতে চায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
আজ মঙ্গলবার রাতে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক ‘আমার বিক্রমপুর’ কে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, চলতি মাসের দশ তারিখের মধ্যে মুন্সিগঞ্জ-গজারিয়া রুটে ফেরি চালুর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে পল্টুন বসানোর কাজ চলছে। ১ সপ্তাহের মধ্যে নাব্য সংকট ও পল্টুন বসানোর কাজ শেষ হবে। প্রথম পর্যায়ে ১টি ফেরি থাকবে। চাহিদা বাড়লে আরো ফেরি বাড়ানো হবে।
মুন্সিগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস জানান, মুন্সিগঞ্জ-গজারিয়া রুটে মেঘনা নদীতে ২০১৮ সালের জুনে ফেরি সার্ভিস চালু করেন প্রধানমন্ত্রী। এর ফলে মুন্সিগঞ্জ জেলা সদর থেকে গজারিয়া উপজেলায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে দূরত্ব কমে আসে। কিন্তু সংকীর্ণ, ভাঙাচোরা সড়ক ও নানা কারনে ৫ মাস পরেই ফেরি সার্ভিসটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ৮০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যায়ে মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার উত্তর ইসলামপুর এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের চরকিশোরগঞ্জ ঘাট পর্যন্ত এবং গজারিয়ার কাজীপুরা ফেরিঘাট থেকে রসুলপুর খেয়াঘাট পর্যন্ত এবং রসুলপুর খেয়াঘাট থেকে ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ভবেরচর-গজারিয়া-মুন্সিগঞ্জ মহাসড়কের সংস্কার ও প্রশস্তকরণ নামে ১২.৬০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করে সরকার।
তিনি বলেন, মুন্সিগঞ্জ-গজারিয়া রুটে ফেরি চলতে এখন আর কোন বাঁধা নেই। সংশ্লিষ্টরাও আশাবাদী এই রুটে ফেরি চলাচল পুনরায় শুরু করার ব্যাপারে। সেই মোতাবেক প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ফেরি চলাচল পুনরায় শুরু হবে বলে আশা রাখি।
উল্লেখ্য, মুন্সিগঞ্জ সদর থেকে গজারিয়া উপজেলায় যেতে ৫০ কিলোমিটার সড়ক পথ পাড়ি দিতে হয়। ফেরি সার্ভিস চালু থাকলে সাত কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েই গজারিয়ায় পৌঁছানো যাবে। গজারিয়ার আটটি ইউনিয়নের ১২০ গ্রামের প্রায় দেড় লাখ মানুষ ছোট ছোট ট্রলারে ফুলদী ও উত্তাল মেঘনা নদী পার হয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার চর কিশোরগঞ্জ হয়ে মুন্সিগঞ্জ শহরে যাতায়াত করেন। এতে তাদের চরম ঝুঁকি ও দুর্ভোগ পোহাতে হয়।