মুন্সিগঞ্জ, ১৩ জুলাই ২০২৪, (আমার বিক্রমপুর)
আমার জন্ম ও বেড়ে উঠা মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায়। সেখানেই আমি প্রাইমারি ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা সম্পন্ন করি। কিন্তু কখনোই সেভাবে ভালোভাবে পড়াশোনা করা হয়ে উঠেনি।
কোনরকম ভাবে জিপিএ ৪.০০ পেয়ে আমি আমার মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করি। পড়াশোনা করে জীবনে কিছু করতে পারবো এই বিশ্বাস আমার মধ্যে ছিলো না। এসএসসির কিছুদিন পর কোনকিছু না ভেবেই ঢাকায় চলে এসেছিলাম। ভর্তি হয়েছিলাম ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল এন্ড কলেজে। আমার জীবনের সবচেয়ে হতাশাজনক সময়ের মধ্যে কলেজ জীবনের প্রথম দিকের দিনগুলো অন্যতম। ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষায় ৩ বিষয়ে ফেইলও করেছিলাম।
কলেজ জীবনের প্রথম দিকেই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার কিছু ধারণা পেয়েছিলাম আমার কলেজের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকমন্ডলীর কাছ থেকে। কারণ তারা সবাই কোন না কোন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেছে।
কখনো না পড়ে যাওয়ার মধ্যে বীরত্ব নাই, পড়ে গিয়ে উঠে দাঁড়ানোর মধ্যেই সত্যিকারের বীরত্ব লুকিয়ে আছে
সেই থেকে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার আগ্রহ আমার বাড়তে থাকে। ২য় বর্ষ থেকে রাত আর দিন ছিলোনা ঘুম থেকে উঠে ৭-৮টার মধ্যে আমার দিন শুরু হয়ে যেত। ঘুমাতে যাওয়ার আগে ১০-১১ টা পর্যন্ত চলতো আমার পড়াশোনা। দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় কাজগুলো এর মাঝেই করা হতো। এভাবেই চলছিলো আট মাস ধরে আমার প্রস্তুতি। আমি একেবারে বেসিক থেকেই আমার পড়াশোনা শুরু করেছিলাম। অবশেষে এইচএসসি পরীক্ষায় ও ভালো ফলাফল করেছি।
তারপর নিজেই ইউটিউব এর সহায়তা নিয়ে ভর্তি যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে থাকি। অবশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাকালটি অব বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের টুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ আমার হয়েছে। বর্তমানে এই বিভাগেই আমি অধ্যয়নরত রয়েছি। আমার বিশ্বাস জীবনের যেকোনো অবস্থা থেকে শুরু করে সফলতা অর্জন সম্ভব।
লিখেছেন: ইয়াহিয়া মাহমুদ। শিক্ষার্থী, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
আমার বিক্রমপুরের পাঠকের মুখোমুখি বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন যে কোন বিষয়ে। আপনার ছবিসহ লেখা পাঠান: bikrampuramar@gmail.com ইমেইলে।