মুন্সিগঞ্জ, ১২ জুন ২০২৪, নিজস্ব প্রতিনিধি (আমার বিক্রমপুর)
পদ্মা নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙনের মূল কারণ হিসেবে রাতের আঁধারে অপরিকল্পিত ও অবৈধ বালু উত্তোলনকে দায়ী করেছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
এসময় তিনি বলেন, ‘বালু ব্যবসায়ীরা স্থানীয়দের সাথে যোগসাজশ করে অবৈধ বালু উত্তোলন করে বিপুল টাকার মালিক হয়। কিন্তু তাদের কারণে সরকারের প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বাঁধ ধসে পড়ে। তখন স্থানীয় জনগণ ও মিডিয়া আমাদের দোষারোপ করে।’
বুধবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মানদী তীরবর্তী গাঁওদিয়া ইউনিয়নের শামুরবাড়ি ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর কারণে পদ্মা নদীর গতিপথ কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। এছাড়া প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকার নদীচর বিলীন হয়ে যাওয়ায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে নতুন কয়েকটি এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।লৌহজং ও টংগিবাড়ীতে পদ্মার বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ অব্যাহত রয়েছে। নতুন করে ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এ এলাকাগুলোও স্থায়ী বাঁধের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে আশ্বস্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
এসময় মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, জেলা প্রশাসক আবুজাফর রিপন, লৌহজং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বি.এম শোয়েব, লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কায়েসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।