মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নে বাংলাদেশ অাওয়ামী লীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী অাব্দুল সাত্তার মিয়া নির্বাচনী গণসংযোগ চালানোর সময় ইউনিয়নের মুক্তারপুরে প্রতীদ্বন্দী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম মোস্তফা সমর্থিত লোকজন বাধা দিলে সংঘাতের সৃষ্টি হয়।
অাজ দুপুর সাড়ে ১১টা’র দিকে গোলাম মোস্তফার মালিকানাধীন সূতা ফ্যাক্টরি কিংফিশার ফাইবার এর ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।
মুক্তারপুরে গণসংযোগ চালানোর সময় তুলে নিয়ে গিয়ে একপর্যায়ে গোলাম মোস্তফা’র ছোট ভাই গোলাম কিবরিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ অাহম্মেদ পাভেল ও জেলা তরুণলীগের সভাপতি মিদূ্ল দেওয়ান কে লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। তবে গুলি লক্ষ্যভেদ করলে তারা প্রাণে বেচে যান। গোলাম মোস্তফার ছোট ভাই গোলাম কিবরিয়া এসময় স্থানীয় সাংসদ ও বাংলাদেশ অাওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসের উপর হামলা’র হুমকি দেন। পুরো ঘটনার একটি অডিও রেকর্ড ‘অামার বিক্রমপুর’ এর কাছে রয়েছে।
গোপনে ধারণকৃত ঐ অডিও রেকর্ডে গোলাম কিবরিয়া কে বলতে শোনা যায় নির্বাচনে তিনি ট্রাক ভর্তি অস্র দিয়ে সয়লাব করে ফেলবেন।
এ ঘটনার খবর পেয়ে জেলা তরুণলীগের সহ-সভাপতি অাদর দাস ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম রসূল সিরাজী রোমান মীমাংসা করতে গেলে তাদেরকেও ফ্যক্টরির ভেতরে অাটকে রেখে বেদম প্রহার করে উপস্থিত গোলাম মোস্তফা তার ভাই গোলাম কিবরিয়া ও এদের ক্যডাররা।
এরপরে তারা তাদের ব্যবহৃত ৩টি মোটরসাইকেল পেট্রোল দিয়ে জালিয়ে দেয়।
গুরুতর অাহত ফয়েজ অাহম্মেদ পাভেল ও মিদূল দেওয়ান কে মুন্সিগঞ্জ সদর থানা’র পুলিশ উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার জেরে শহরে সাংসদ মৃণাল সমর্থিত রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের বসত বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সশস্র হামলা চালিয়েছে অাওয়ামীলীগের বিবদমান অপর একটি গ্রুপ।
এদিকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কে মোস্তফা অবরুদ্ধ করেছে এমন খবরে ঢাকা-টঙ্গিবাড়ী সড়কের বণিক্যপাড়ায় ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়ায় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।