এগারো বছর বয়সী ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী সহপাঠীদের সহযোগিতায় নিজেই ঠেকিয়ে দিয়েছে তার জন্য আয়োজন করা বাল্যবিয়ে।
মেয়েটি নেত্রকোণার মদন উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর টি আমিন সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
স্থানীয়রা জানান, মদন পৌরসভার মামুদপুর গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে পাপ্পুর (২১) সাথে মঙ্গলবার রাতে একই গ্রামের ওই ছাত্রীর বিয়ে হবার কথা ছিল।
ছাত্রীটি জানায়, অভিভাবকদের কাছে নিজের বিয়ে ঠিক হওয়ার কথা শুনে সোমবার বিকালে কৌশলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর সহপাঠীদের সঙ্গে নিয়ে তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারা জেবুন্নাহারের বাসায় গিয়ে বিয়ে ঠেকানোর অনুরোধ করে।
প্রধান শিক্ষক আনোয়ারা জেবুন্নাহার জানান, তিনি এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেন। প্রশাসনের পরামর্শে রাতেই দুইপক্ষের অভিভাবককে বাসায় ডেকে আনেন।
“আমি উভয়পক্ষকে বাল্য বিয়ের কুফল সর্ম্পকে অবহিত করলে তারা বিষয়টি বুঝতে পারেন। এরপর দুপক্ষের অভিভাবকরা ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ওই ছাত্রীর বিয়ে না দেওয়ার মুচলেকা দেন।”
প্রধান শিক্ষক আনোয়ারা জেবুন্নাহার হতদরিদ্র এ শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ দেখে তার লেখাপড়াসহ যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করার প্রতিশ্রুতি দেন বলে জানান।