প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই ভোটের ময়দানে নেমে পড়েছেন মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার প্রার্থীরা। ছুটছেন ভোটারদের বাড়ির দ্বারে দ্বারে, এ মহল্লা থেকে ও মহল্লা। তবে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর অভিযোগ, সন্ত্রাসীদের হুমকির কারণে নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারছেন না তিনি।
এদিকে, হুমকি-ধমকির ব্যাপারটি অপপ্রচার বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। তিনি বলেন, যোগ্য প্রার্থী হিসেবে জনগণ তাঁকেই নির্বাচিত করবে।
১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত ১০ দশমিক ৮৫ বর্গকিলোমিটার এলাকার মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা। প্রার্থীরা এখন ব্যস্ত গণসংযোগে। রাস্তাঘাট, দোকান, মার্কেট, হাটবাজার, অফিস-আদালত যেখানে মানুষের বিচরণ, সেখানেই ছুটছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন নানা প্রতিশ্রুতিতে। শহরজুড়ে চলছে মাইকিং, পোস্টার ঝুলছে অলিগলিতে। কে নির্বাচিত হবেন, চায়ের স্টল থেকে অফিসপাড়া—সর্বত্রই চলছে আলোচনা।
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভায় এবার চারজন মেয়র পদে নির্বাচন করলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাজি বিপ্লব ফয়সাল ও বিএনপির প্রার্থী বর্তমান মেয়র এ কে এম ইরাদত মানুর মধ্যে।
নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ রেজাউল সংগ্রাম ও ইসলামী খেলাফতের মো. মহিউদ্দিন। ভোটারদের মন জয় করতে প্রার্থীরা ছুটে চলেছেন মহল্লা থেকে মহল্লায়।
বিএনপির এ কে এম ইরাদত মানুর অভিযোগ, সন্ত্রাসীরা অস্ত্র নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের বাসায় গিয়ে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এতে তাঁরা একেবারেই নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারছেন না। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, আওয়ামী লীগের হাজি বিপ্লব ফয়সাল বলেন, হুমকি-ধমকির ব্যাপারটি অপপ্রচার ও ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার অপপ্রয়াস। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী বিন্দুমাত্র প্রভাব ফেলতে পারবেন না। তিনি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার রিটার্নিং অফিসার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফজলে আজিম বলেন, যেকোনো ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য যা যা প্রয়োজন, সব করা হবে।
এই পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে পুরুষ কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৩৯ প্রার্থী। তিনটি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদের মধ্যে একটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন নার্গিস আক্তার। বাকি দুটিতে মাঠে আছেন আটজন।
মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার ৪৫ হাজার ৪২৮ ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৩ হাজার ৯৬ জন আর নারী ভোটার ২২ হাজার ২৩২। মোট ২৫টি কেন্দ্রের ১১৫টি ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে।