দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার ১৪তম বার্ষিকীতে মুন্সিগঞ্জে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আয়োজনে এই আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি উপস্থিত ছিলেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আল মাহমুদ বাবু। জেলা শহরের সুপার মার্কেট মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর্যের পাদদেশে সন্ধ্যায় এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আইনজীবি গোলাম মাওলা তপন, জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহিন মোঃ আমানুল্লাহ্, শহর শাখা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর[highlight][/highlight] মকবুল হোসেন কাউন্সিলর জাকির হোসেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক আপন দাস প্রমুখ।
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) ৬৩ জেলার সাড়ে ৪শ’ স্থানে একযোগে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। হামলা থেকে বাদ পড়ে মুন্সিগঞ্জ।
আলোড়ন সৃষ্টিকারী এ হামলার মধ্যে দিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছিল জেএমবি।
আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হন বিচারক, আইনজীবী, পুলিশ, সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তাসহ ৩৩ জন। আহত হন চার শতাধিক নারী-পুরুষ।
অনেকে চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার পরও সংগঠনের সদস্যরা নামে-বেনামে, ছদ্মনামে এখনও তৎপর রয়েছে।
ইতোমধ্যে মৃত্যুদন্ডাদেশ মওকুফ করতে হাইকোর্টে আপীল করেছেন ২৯ জঙ্গী।
ফাঁসির দন্ড থেকে বাঁচতে হাইকোর্টে আপীল করেছেন জেএমবির ২৯ জঙ্গী হলো- হাফেজ মাহমুদ ওরফে রাকিব হাসান ওরফে হায়দার, নারায়ণগঞ্জের সালাউদ্দিন ওরফে সালেহীন ওরফে সজিব, নওগাঁর নিয়ামতপুরের আবদুল কাইউম, বগুড়ার শেরপুরের হাফেজ মিনহাজুর ইসলাম ওরফে সোহেল রানা ওরফে সানোয়ার হোসেন, জামালপুরের মোঃ আক্তারুজ্জামান, খুলনার তরিকুল ইসলাম ওরফে রিংকু, ঝিনাইদহের মনিরুল ইসলাম ওরফে মোকলেছ, নাসনসরুলাহ ওরফে শান্ত, ঝিনাইদহের রোকনুজ্জামান ওরফে সিবুন, গাইবান্ধার আবু তালেব আনছারী ওরফে বাবুল আনছারী, ঝিনাইদহের মোহন, মামুনুর রশিদ, ঝিনাইদহের মুহিদ আহম্মদ, মোজাম্মেল হক ওরফে মোজাম, তুহিন রেজা, সবুজ আলী, শৈলকুপার ফারুক হুসাইন, গাইবন্ধার মতিন মেহেদী ওরফে মতিনুর ইসলাম, ঝিনাইদহের মহিরুল আল মামুন ওরফে চাদ, ঝিনাইদহের বিলাল হোসেন, সাবউদ্দিন, শৈলকুপার রবজেল হোসেন, আজিজুর রহমান।