২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রবিবার | রাত ৩:০৯
দল নয়, প্রার্থী ‘দেখবে’ ইসি
খবরটি শেয়ার করুন:

আসন্ন পৌর নির্বাচন ‘পুরোপুরি’ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে আশা করছেন কমিশনার মো. জাবেদ আলী।

বুধবার বিকেলে শেরেবাংলা নগরে ইসি কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এর আগে যদি কোনো ‘ত্রুটি-বিচ্যুতি’ হয়েও থাকে, এবার সে সুযোগ দেওয়া হবে না। এবার ‘পর্যাপ্ত’ পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক থাকবেন।

“সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে। প্রার্থী হওয়ার পর তাদের অসুবিধাগুলো দেখব আমরা। যদি কোনো প্রার্থী অভিযোগ নিয়ে আসেন, তাহলে প্রার্থীকে প্রার্থী হিসেবেই দেখা হবে, দল ও প্রতীক সেক্ষেত্রে বিবেচিত হবে না।”

বর্তমান ইসির অধীনে দশম জাতীয় সংসদ, উপজেলা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়েছে। সর্বশেষ গত এপ্রিলে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ভোটে কেন্দ্র দখল, গোলযোগসহ নানা অভিযোগ ওঠে। অনিয়মের ছবিও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা ভোট চলার মধ্যেই ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় ২৩৫ পৌরসভায় নির্বাচনে ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে মেয়র নির্বাচন হচ্ছে।

জাবেদ আলী বলেন, এ নির্বাচনে পর্যাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গোয়েন্দা সদস্য মাঠে থাকবেন। কোথাও কোনো ত্রুটি পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

“সবার নজরদারিতে ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আশা করি, পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে থাকবে আমাদের।”

এই কমিশনার জানান, নিবন্ধিত দলগুলো প্রতীক পাবে। অনিবন্ধিত দলের রাজনীতি করায় কোনো বাধা নেই। তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারে।

প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় ইসির বেঁধে দেওয়া সীমায় রাখার তাগিদ দিয়ে জাবেদ আলী বলেন, “আমরা মনিটর করব। নির্ধারিত সময়ে ইসির কাছে নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাবও জমা দিতে হবে।”

প্রথবারের মতো দলীয়ভাবে হওয়ায় এ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে রাজনৈতিক দলসহ সবার সহযোগিতাও চান এ কমিশনার।

তিনি বলেন, “শুধু সরকার নয়, সমাজের সর্বস্তরের সবাইকে নিয়ে পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করে তোলা হবে। সংবিধানে বলা আছে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইসিকে নির্বাচন করার জন্য সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।”

error: দুঃখিত!