মুন্সিগঞ্জ, ১২ ডিসেম্বর, ২০২০, ডেস্ক রিপোর্ট (আমার বিক্রমপুর)
মুন্সিগঞ্জে জেঁকে বসেছে শীত। গত ৩ দিন যাবৎ তীব্র কুয়াশা আর শীতের হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাপন।
সকাল থেকে সূর্যের অপেক্ষা শুরু হলেও দেখা মিলছে না সূর্যের। দুপুরের পরপরই পুনরায় অন্ধকারাচ্ছন্ন হতে থাকে চারপাশ। সন্ধ্যা-রাতের মধ্যেই কাজ শেষ করার তাগাদা দিচ্ছে আবহাওয়া।
এতে করে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বয়োবৃদ্ধরা। মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ঘুড়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। শেষ বয়সে সংসারের হাল ধরে রাখা এসব বয়স্ক লোকজন তীব্র শীতের কারনে পড়েছেন চরম বিপাকে। অনেকের নেই শীতের পোষাক।
মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার আব্দুল্লাপুর এলাকায় কথা হয় রিস্কাচালক আবুল মিয়া (৭২) এর সাথে।
তিনি বলছিলেন, বয়স হওয়ার পরও পেটের টানে কোনমতে কাজ করি। পায়ে চালিত রিস্কার কদর এমনেই কমে গেছে। খ্যাপও কম। এর মধ্যে যেই শীত পড়ছে, শরীরে একদমই জোড় পাই না।
অন্য সময় সারাদিনে ২৫০-৩০০ টাকা উঠাইতে পারতাম। এখন এক খ্যাপ দেয়ার পরে শীতের কারনে আরেক খ্যাপ দিতে ইচ্ছা করে না। রিকশায় উঠলে প্যাসেঞ্জারের শরীরে শীত বেশি লাগে বলে অনেকে উঠেও নেমে যায়। সারাদিনে ২০০ টাকাও ইনকাম হয় না। খাইতেই তো কত খরচঁ।
রিকশাচালক শহিদুল্লাহ
অন্যদিকে, তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া ও নিম্নআয়ের মানুষ। ঠাণ্ডার কারণে দিনমজুররা কাজ করতে পারছেন না।
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের ভিটি হোগলাকান্দি এলাকার দিন মজুর আহম্মেদ সিকদার বলেন, শীতের কারনে খোলা মাঠে কাজ করা কষ্টকর হয়ে উঠেছে। তারপরও কাজ করতে হচ্ছে। তবে আমার সাথে আজকে আরও যাদের কাজ করতে আশার কথা শীতের কারনে তারা আসেননি। তারা জানিয়ে দিয়েছেন শীতে কাজ করতে তাদের কষ্ট হয়। তারা কাজ করবেননা। শীত কমলে আসবেন।
এদিকে আবহাওয়া অফিস বলছে, আরও অন্তত ৩ তিন আবহাওয়া এরকমই থাকবে। জানা গেছে, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে অবস্থিত আরব সাগরে সৃষ্ট ঝড়ের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায়। এ কারণে শীত কিছুটা বেশি অনুভূত হচ্ছে।