২৩শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রবিবার | সকাল ৮:০৬
তিস্তা চুক্তির আশু সমাধান চায় ঢাকা
খবরটি শেয়ার করুন:

ক্ষমতায় যাওয়ার এক বছরের মধ্যে সম্প্রতি কয়েক দশক ধরে ঝুলে থাকা স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন করে ভারতের মোদী নেতৃত্বাধীন সরকার।

অবশ্য এর আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তির মুখে ২০১১ সালে তখনকার কংগ্রেস নেতৃত্বধীন সরকার তিস্তা চুক্তি থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়। এরপর থেকেই এ বিষয়ে বারবার তাগিদ দিয়ে আসছে ঢাকা।

শুক্রবার ঢাকায় ভারত-বাংলাদেশ সংলাপের উদ্বোধনী দিনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম নতুন করে এ চুক্তি সইয়ের দাবি জানান।

পাশাপাশি গঙ্গা ব্যারেজ প্রকল্পে ভারতের সহযোগিতাও চেয়েছেন তারা।

জবাবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব বলেছেন, ঢাকার সঙ্গে থাকা সব সমস্যার সমাধানে নয়া দিল্লি প্রস্তুত।

পানি বণ্টন ইস্যুতে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করেই তিনি বলেন, তার দেশ বাংলাদেশকে ‘বড়ভাই সুলভ’ দৃষ্টিতে দেখে না।

“আমরা একে অপরের সহযোগী; অগ্রগতি, শান্তি ও সমৃদ্ধির অংশীদার।

অবশ্য ঢাকায় ভারতের হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা এ বিষয়ে বলেন, “ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক দাঁড়িয়ে আছে পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে, যা উভয় দেশের জন্যই লাভজনক।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এক্ষেত্রে স্থল সীমান্ত ইস্যুর নিষ্পত্তির উদহারণ টেনে বলেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে সব কিছুই সম্ভব, যা স্থল সীমান্ত ইস্যুর সাফল্যময় সমাধান সাক্ষী হয়ে আছে।

“বাস্তবিক অর্থে ভারতের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক বিরাজ করছে। এটি এখন একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে, নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে।”

বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘পানি’ খুবই স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলেও জানান তিনি।

“এই খাতের বেশ কিছু সমস্যার সমাধান হয়েছে এবং আমরা আশা করছি প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্কের সূত্রে বাকি সমস্যারও সমাধান হবে।”

প্রস্তাবিত গঙ্গা ব্যারেজ প্রকল্পে এগিয়ে আসতেও ভারতের প্রতি আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছিল দুই দিনব্যাপী ‘ভারত-বাংলাদেশ সংলাপের’ আয়োজক।

গতবছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের আগে সর্বশেষ ভারত-বাংলাদেশ সংলাপের আয়োজন করা হয়েছিল।

তার ওই সফর শেষে যৌথ ঘোষণায় এসেছিল দুই দেশের সম্পর্কে নতুন সূচনার প্রতিশ্রুতি।

ভারত ও বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ, সাবেক কূটনীতিক, রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক ও অধিকার কর্মীরা এই সংলাপে অংশ নেন।

সমাপনী দিনের আলোচনায় শনিবার পানি, কানেক্টিভিটি, বাণিজ্যের মতো বিষয়গুলো থাকবে আলোচনার টেবিলে।

error: দুঃখিত!