১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বৃহস্পতিবার | রাত ৮:১৩
ঢাকায় লঞ্চডুবি; বেশিরভাগই মুন্সিগঞ্জ সদরের, ৩০ লাশ উদ্ধার
খবরটি শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জ, ২৯ জুন, ২০২০, প্রধান প্রতিবেদক (আমার বিক্রমপুর)

বুড়িগঙ্গা নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে মুন্সিগঞ্জ থেকে ঢাকা রুটে চলাচলকারী একটি লঞ্চ ডুবে গেছে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত অন্তত ৩০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

উদ্ধারকৃত লাশের বেশিরভাগই মুন্সিগঞ্জ সদর এলাকার। মুন্সিগঞ্জের ‍মিরকাদিম. পঞ্চসার রামপাল ও বজ্রযোগিনী এলাকার ঘরে ঘরে চলছে স্বজনদের আহাজারি।

আজ সোমবার সকাল ৭ টা ৫৫ এর দিকে এমএল মর্নিং বার্ড নামের লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি এলাকা থেকে সদরঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়। সদরঘাটের কাছেই ফরাশগঞ্জ ঘাট এলাকায় নদীতে লঞ্চটি ৮ টা ৫০ এর দিকে ডুবে যায়।

লঞ্চে থাকা মিরকাদিমের একজন যাত্রী যিনি বেঁচে ফিরেছেন ‘আমার বিক্রমপুর’ কে জানান, লঞ্চের উপর ও নিচে মিলিয়ে ১৫০ অধিক যাত্রী ছিলো। যাদের সবাই মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার। এর মধ্যে ৬০- ৭০ বিভিন্নভাবে বেঁচে গেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ঐ ব্যক্তি জানান তার ধারনা লঞ্চের যাত্রী আরও ৭০-৮০ জনের মত নিখোজ রয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান গোলাম সাদেক জানান, ময়ূর–২ নামের একটি লঞ্চ সদরঘাট লালপট্টি থেকে চাঁদপুরের দিকে যাচ্ছিল। ওই লঞ্চটি মর্নিং বার্ডকে ধাক্কা দেয়। এতে মর্নিং বার্ড নামের লঞ্চটি ডুবে যায়।

বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফউদ্দিন জানান, ধাক্কা দেওয়া লঞ্চ ময়ূর–২ জব্দ করা হয়েছে। তবে লঞ্চের চালক পালিয়ে গেছেন।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ জামাল জানান, উদ্ধার করা লাশের মধ্যে পুরুষ ১৯ জন। নারী ৮ জন ও শিশু ৩টি।

বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় নারায়ণগঞ্জ থেকে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয়েছে।

ঘটনাস্থলে নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।

এদিকে মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার লঞ্চডুবির ঘটনায় খোজখবর রাখছেন এবং ঘটনাস্থলে মুন্সিগঞ্জের একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রয়েছেন। তিনি সার্বিক দিক পর্যবেক্ষণ করছেন।