২৫শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শুক্রবার | রাত ২:৪৭
জেলা প্রশাসক ও সাংসদের প্রচেষ্টায় ১৩বছর পরে মুন্সিগঞ্জ কলেজে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম
খবরটি শেয়ার করুন:

শিহাব আহমেদ: মুন্সীগঞ্জ শহরের অদুরে কাটাখালিতে প্রতিষ্ঠিত মুন্সীগঞ্জের একমাত্র স্বনামে কলেজটি টানা ১৩ বছর বন্ধ ছিলো। ২০১৪-১৫ সালে মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক সাইফুল হাসান বাদল ও মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়া আসনের সাংসদ এডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসের একান্ত প্রচেষ্টায় আবারও চালু হয়েছে কলেজটি।

এর আগে ১৯৯৪ সালে স্থানীয় দানবীর হাজী সুবেদ আলী’র একান্ত প্রচেষ্টায় শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় মুন্সিগঞ্জ কলেজ এর। যেটি ২০০২সালে বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

গত ৩১জুলাই শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী তৃতীয় দফা ভর্তি কার্যক্রম ও শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয় কলেজটিতে।
সকল প্রক্রিয়া শেষে বর্তমানে পুরোদমে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কলেজটি।

দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে বন্ধ থাকা কলেজটি পুনরায় চালু করার ক্ষেত্রে মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক সাইফুল হাসান বাদল ও সংসদ সদস্য এডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসের বিশেষ ভূমিকার কথা জানালেন মুন্সীগঞ্জ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহরিয়ার হোসেন।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহরিয়ার হোসেন এসময় জানান, এখন পর্যন্ত মানবিক শাখায় ৬৫ জন, ব্যাবসায় শিক্ষা শাখায় ৩৯জন ও বিজ্ঞান শাখায় ৬জন ছাত্র ভর্তি হয়েছেন এর মধ্যে প্রতিদিন প্রায় ৪০% শিক্ষার্থী নিয়মিত কলেজটিতে ক্লাস করছেন। আর শিক্ষার্থীদের জন্য এখন পর্যন্ত মোট ১৩জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

11836341_1620368674887144_1247228433_oশাহরিয়ার হোসেন এসময় আরো জানান, কলেজের সামনের পরিত্যাক্ত জায়গাটিতে শিক্ষার্থীদের জন্য খেলার মাঠ ও ফুলের বাগান তৈরি করা হবে।

এছাড়াও কলেজের পশ্চিম দিকের জলাশয়টি ভরাট করে সেখানে কলেজের জন্য একটি মসজিদ নির্মান করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়া আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস।

সরেজমিনে কলেজটিতে গিয়ে দেখা যায়, কলেজ ভবনের দ্বিতীয় তলায় ভিন্ন ভিন্ন শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা রুমে শিক্ষকরা ক্লাস নিচ্ছেন। এছাড়াও কলেজ ভবনের নিচ তলায় শিক্ষকদের বসার জন্য রয়েছে আলাদা শিক্ষক মিলনায়তন ও অধ্যক্ষ’র জন্যও রয়েছে আলাদা অফিসকক্ষ।

এসময় মানবিক শাখার শিক্ষার্থী সাবিহা আয়েশা জানান, ‘দীর্ঘদীন পরে কলেজটি পুনরায় চালু হওয়ায় বিশেষ করে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা বেশি লাভবান হবে। এছাড়াও আমাদের দেশে অর্থনৈতিক শ্রেনীবিন্যাস থাকায় যারা অভিজাত কলেজে পড়াশোনা করার সুযোগ পায়না তারাও উপকৃত হবে।

error: দুঃখিত!